দিল্লি, ২৮ এপ্রিল – সুপ্রিম কোর্টে ফের পিছিয়ে গেল ডি এ মামলার শুনানি। আগামী ১৪ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি হতে পারে। অর্থাৎ মামলার শুনানি পিসিয়ে গেল প্রায় আড়াই মাস। শুক্রবার শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি হবে এমনটাই আশা করেছিলেন রাজ্যের ডিএ আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ফের মামলা পিসিয়ে যাওয়ায় হতাশ তাঁরা। এই নিয়ে সাতবার ডি এ মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। ফলে আরও দীর্ঘ হল মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীদের অপেক্ষা।
শুক্রবার বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তবে মামলার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সরকারি আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় সরকারের জুনিয়র আইনজীবী এদিন পাসওভার চান। শুক্রবার, অর্থাৎ ২৮ এপ্রিল বহু মামলা থাকায় সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হয়নি।’
কেন্দ্রীয় হারে ডি এ-র দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই আইনি লড়াইয়ে সামিল হয় সরকারি কর্মচারি সংগঠনগুলি। মামলা যায় কলকাতা হাইকোর্টে। ২০২২ সালে ২০ মে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সরকারি কর্মীদের পক্ষে রায় দেয়। তিন মাসের মধ্যে সরকারি কর্মীদের যাবতীয় বকেয়া মেটাতে হবে, এই নির্দেশও দেয় হাইকোর্ট। এই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। যদিও সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তিন মাসের মধ্যে বকেয়া না মেটানোয় রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের আদালতে যান সরকারি কর্মীরা। অন্যদিকে ডি এ মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিট পিটিশন দায়ের হয়। শুক্রবার এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু পিছিয়ে গেল শুনানি।
জানুয়ারি মাস থেকে ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়ে যাচ্ছে বারবার । গত ২৪ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেদিনও শুনানি হয়নি। ২৮ এপ্রিল শুনানির দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু হয় নি. এরই মধ্যে বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী ১৪ মে অবসর নেওয়ার কথা। অর্থাৎ ডিএ মামলার জন্য ফের নতুন বেঞ্চ তৈরি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তাছাড়া মে মাসেই গরমের ছুটি পড়ে যাচ্ছে শীর্ষ আদালতে। ছুটি শেষে ৩ জুলাই আবার খুলবে সুুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই ডিএ মামলার শুনানি হবে সর্বোচ্চ আদালতে ।