• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে বালিগঞ্জে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল 

কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর – মঙ্গলবার শহরের রাজপথে নেমে ফের চমক দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি পৌঁছে যান বালিগঞ্জের রোনাল্ড রোডে। সূত্রের খবর, বেআইনিভাবে গাছ কাটা হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্ন করে, এমন অভিযোগ পেয়ে বালিগঞ্জে পৌঁছন তিনি। রাজভবনে অভিযোগ এসেছিল, ওই এলাকার একটি বহু পুরোনো গাছ কাটা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকালে সেখানে

কলকাতা, ১২ সেপ্টেম্বর – মঙ্গলবার শহরের রাজপথে নেমে ফের চমক দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন তিনি পৌঁছে যান বালিগঞ্জের রোনাল্ড রোডে। সূত্রের খবর, বেআইনিভাবে গাছ কাটা হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য বিঘ্ন করে, এমন অভিযোগ পেয়ে বালিগঞ্জে পৌঁছন তিনি। রাজভবনে অভিযোগ এসেছিল, ওই এলাকার একটি বহু পুরোনো গাছ কাটা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকালে সেখানে পৌঁছে যান রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস । রাজ্যপালের গাড়ি কনভয় নিয়ে পৌঁছয় সেখানে। কেন গাছ কাটা হচ্ছে, অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা, সে সমস্ত বিষয় নিয়ে তিনি  স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

রাজভবন এখন জনগণের জন্য অবারিত দ্বার। মানুষ তাঁদের সমস্যার কথা, অভাব-অভিযোগের কথা জানিয়ে থাকেন রাজভবনে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সেই সব অভাব-অভিযোগ নিয়ে নিজেই উদ্যোগী হয়ে পদক্ষেপ করে থাকেন। বোস এদিন জানান, কাটা গাছের স্মরণে তিনি রাজভবনে পিপুল গাছের চারা পুঁতবেন।

ঘটনাচক্রে, এ দিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেন এবং দুবাই সফরের জন্য রওনা হন। মুখ্যমন্ত্রীর বিমান যদিও নির্ধারিত সময়ের কিছুটা দেরিতে ওড়ে। যে সময়ে রাজ্যপাল বালিগঞ্জের রোনাল্ড রোডে পৌঁছন তখনও মমতার বিমান ওড়েনি।

কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে সেখানে পৌঁছে যাওয়া রাজ্যপালের নতুন নয়। উচ্চশিক্ষা নিয়ে যখন নবান্ন বনাম রাজভাবন সংঘাত তুঙ্গে তখন বালিগঞ্জে গাছ কাটা দেখতে পৌঁছে গেলেন রাজ্যপাল। এই ঘটনা আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি করবে কি না তা ভবিষ্যত বলবে। কারণ বেআইনি ভাবে গাছকাটা, প্রোমোটিং এই সবই পৌরসভার তত্ত্বাবধানে থাকে। এবার শিক্ষা দফতরের বাইরে গিয়ে পৌরসভার বিষয়েও সাংবিধানিক প্রধানের হস্তক্ষেপ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না ।

এ ব্যাপারে তৃণমূল নেতা তাপস রায়ের প্রতিক্রিয়া, “কথায় বলে নেই কাজ তো খই ভাজ। রাজ্যপালের অখণ্ড অবসর। উনি আমলা ছিলেন, সক্রিয় ছিলেন। রাজভবনে হয়তো তাঁর মন টিকছে না, তাই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এতে কোনও আপত্তি নেই”।

তিনি আরও বলেন, “উনি ফুল, ফল, লতাপাতা নিয়ে থাকুন। পরিবেশের কথা ভাবুন, গাছ লাগান, বন মহোৎসব করুন। তাতে বাংলার মানুষের সত্যিই উপকার হবে। শুধু ওনাকে অনুরোধ, দিল্লির রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশে বাংলায় রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডা নিয়ে যেন না ঘোরেন। সরকারকে যেন বিব্রত না করেন।”