লখনৌ,৭ ডিসেম্বর — নিজের পরিবারের লোকজনই সেই নাবালিকার সাথে ঘটালেন এমন হার হিম করা কান্ড। গত শনিবারই উত্তরপ্রদেশের পিলভিটে একটি চাষের জমি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বছর দশকের একটি নাবালিকার মৃত দেহ । সেই নাবালিকার পেট কেটে বার করে হয়েছে নাড়িভুঁড়ি।দেহের পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছিল নাবালিকার শরীরের বিভিন্ন অন্ত্র।এই জঘন্য অপরাধটিতে জড়িত সেই নাবালিকার বাবা,দাদু ,এবং তিন কাকা। শিশুটিকে খুন করার অভিযোগে নাবালিকার বাবা, দাদু এবং ৩ কাকাকে গ্রেফতার করল পুলিশ ।‘শত্রুরা খুন করেছে মেয়েকে,’ এমনটা প্রমাণ করার উদ্দেশ্যেই তার নিজের দাদু, বাবা এবং আত্মীয়রা একেবারে ঠান্ডা মাথায় তাকে খুন করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মেলায় যাবার নাম করে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় সেই নাবালিকাকে। শুক্রবার কাকা এবং বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গে গ্রামের একটি মেলায় গিয়েছিল ওই নাবালিকা। সেখান থেকেই আচমকা নিখোঁজ হয়ে যায় সে। পরের দিন মাধোপুর গ্রামের একটি কৃষিজমিতে নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার করে তার পরিজনরা। তার জুতোও উদ্ধার করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকেই।এই ঘটনায় শাকিল বৈস্তব নামে স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল নাবালিকার পরিবারের তরফে। তাকে হেফাজতে নিয়েছিল পুলিশ। জানা গিয়েছিল, মৃত কিশোরীর বাবার সঙ্গে পুরনো শত্রুতা ছিল ওই যুবকের। সেই রাগ থেকেই সে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে অনুমান করেছিল পুলিশ। কিন্তু সেই ঘটনার ৪ দিনের মধ্যেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আনল পুলিশ। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে তার পরিবারের লোজকন শাকিলকে ফাঁসাতেই চক্রান্ত করে ঠান্ডা মাথায় নিজেদের মেয়েকে খুন করেছে। অভিযুক্তরা হলেন নাবালিকার দাদু, বাবা এবং কাকারা।