‘অপয়া’ মন্তব্যের জেরে রাহুলকে নোটিশ ধরাল নির্বাচন কমিশন 

 দিল্লি, ২৩ নভেম্বর – প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনের কোপে রাহুল গান্ধি . নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে ‘অপয়া’ এবং ‘পকেটমার’ মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে বৃহস্পতিবার নোটিশ পাঠাল নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে রাহুল গান্ধি যে  মন্তব্য করেন, তার কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে তাঁর কাছে। শনিবার সন্ধের মধ্যে রাহুলকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে।  

রাজস্থানে এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল গান্ধি।  বুধবার ভারতীয় জনতা পার্টি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানায়।  এই ধরণের ভাষা ব্যবহার করা অবাঞ্ছিত।  কমিশন রাহুল গান্ধিকে নোটিশ দিয়ে জানিয়েছে, আদর্শ আচরণবিধি নেতাদের এবং রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রতি মেনে চলা বাঞ্ছনীয়।  

নোটিশ সম্পর্কে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেন, ‘তাদের পাঠাতে দিন , আমরা জবাব দেব। এটা খুব একটা বড় কথা নয়। কারও বিরুদ্ধে এমন কিছু গুরুতর মন্তব্যও করা হয়নি।  যেহেতু নির্বাচন চলছে, তাই হাইপ তৈরী করা হচ্ছে। নির্বাচনে তারা যেভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তা ঠিক নয়। গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে তাদের একটা শিমা থাকা উচিত।  পরিবর্তে ইডি , সিবিআই ব্যবহার করা হচ্ছে।       
 
এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। রাহুলকে দেশদ্রোহী বলার পাশাপাশি থানায় এফআইআর দায়েরও করে বিজেপি। সিনিয়ার নেতার কাছে এই ধরনের মন্তব্য অভিপ্রেত নয় বলে দাবি বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার রাহুলকে নোটিশ দিল নির্বাচন কমিশন। রাহুল নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ। আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে রাহুলকে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজস্থানে এক জনসভায় বক্তৃতায় রাহুল বলেন, “অপয়া.. অপয়া..বিশ্বকাপে আমাদের ছেলেরা ভালই খেলছিল… অপয়া গিয়ে হারিয়ে দিল। দেশের মানুষ ব্যাপারটা জানে।”এখানেই থামেননি রাহুল। তিনি বলেন, “পকেটমার কখনও একা আসে না। তিনজন একসঙ্গে আসে। একজন সামনে থেকে আসে, একজন পিছন থেকে, আর এক জন একটু দূরে থাকে।” কংগ্রেস নেতার কথায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজ হল দেশের মানুষের দৃষ্টি ঘোরানো। উনি টিভিতে আসেন, হিন্দু-মুসলমান নিয়ে বিতর্ক উস্কে দেন, নোটবন্দি করেন, জিএসটি ঘোষণা করেন। আর সেই ফাঁকে আদানি পিছন থেকে এসে মানুষের টাকা নিয়ে চলে যায়।” সেই মন্তব্যের জেরেই এবার বিপাকে পড়লেন রাহুল।