মানসিক অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন শান্তি লাভের জন্য। মানসিক স্থিরতা ও অন্তরের শান্তি লাভের জন্য বিশেষ কঠিন কোনও কাজ করার দরকারই নেই। লালবর্ণের চেরি ফল খেলেই শরীর ও মন হয়ে উঠবে ভালো। এমনকী ব্লাড সুগার, ইউরিক অ্যাসিড সহ একাধিক অসুখ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চেরি ফল খেলে তা শরীরে উপযুক্ত মাত্রায় মেলাটোনিনের জোগান বজায় রাখে। মেলাটোনিন একধরনের উপাদান যা রাত্রিকালীন সময়ে গভীর ঘুম আসার পিছনে দায়ী থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন নিউরোট্রান্সমিটারের মতোই কার্যকরী মেলাটোনিন। শরীরে মেলাটোনিন সঠিক মাত্রায় থাকলে কমে উদ্বেগের মাত্রা। চেরিতে থাকা মেলাটোনিন ‘ব্লাড-ব্রেন’ বেরিয়ার ভেঙে সহজেই মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষে প্রবেশ করে ও প্রভাব বিস্তার করে। ফলে চেরি খেলে উদ্বেগের মাত্রা কমে। ফলে দুশ্চিন্তাজনিত মাথাব্যথার সমস্যাও কমতে থাকে। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি। এই দু’টি ভিটামিন চোখের স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতেও কার্যকরী। চেরিতে আছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম। এই ফলটি হৃৎপিণ্ডের স্পন্দনের ছন্দ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তচাপ। কমায় উচ্চ রক্তচাপে ভোগার আশঙ্কা। চেরিতে থাকা ফাইটোস্টেরল রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়।
•রক্তে ক্ষার ও অ্যাসিডের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে চেরি। এছাড়া রক্তে গ্লুকোজের মাত্রাও স্বাভাবিক রাখে। টক চেরি বা টার্ট চেরি ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী।
•গাউট নামে বাত হয় দেহে মাত্রাতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড জমার কারণে। চেরিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
•নিয়মিত চেরি ফল খেলে লিভারে জমে থাকা নানা ক্ষতিকর পদার্থকে দূর করতেও সহায়তা করে।
•চেরি ওজন হ্রাস করতে সাহায্য করে।