কলকাতা, ২৯ সেপ্টেম্বর – দিল্লি যাওয়ার জন্য বিশেষ ট্রেনের অনুমতি মিলল না, শনিবার সকাল যেটি ৮টায় হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল। জানা গেল, বিশেষ ট্রেনের অনুমোদন মেলেনি। ফলে শনিবারের দিল্লিগামী ‘তৃণমূল এক্সপ্রেস’ হাওড়া থেকে ছাড়ছে না।
সোম ও মঙ্গলবার দিল্লিতে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি। আগেই বলা হয়েছিল কর্মী, সমর্থকেরা বিশেষ ট্রেনে দিল্লি যাবেন। সেই রকম প্রস্তুতি ছিল । জানা যায় ২২ বগির একটি এক্সপ্রেস ট্রেন বুক করা হয়েছে। সেই মতো তৃণমূল সমর্থকেরা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রয়েছেন। কিন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় জানা যায়, পূর্ব রেল এমন কোনও বিশেষ ট্রেন দিচ্ছে না। রেলের তরফে তৃণমূলকে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। পূর্ব রেলের তরফে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় রেলের আইআরসিটিসি-কে। সেখানে রেল জানায় , আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের জন্য বগির উল্লেখ করে আইআরসিটিসি যে ট্রেন চেয়েছে তা এই মুহূর্তে দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রসঙ্গত, রেলের থেকে গোটা ট্রেন ভাড়া নেওয়ার দু’টি পদ্ধতি রয়েছে। একটি পদ্ধতিতে সরাসরি রেলের কাছে আবেদন জানাতে হয়। অন্য পদ্ধতিতে আইআরসিটিসি-র মাধ্যমে ‘বুক’ করা যায়। সে ক্ষেত্রে আইআরসিটিসি-র গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজারের কাছে আবেদন করতে হয়। আইআরসিটিসি রেলের কাছ থেকে বিশেষ ট্রেন নিয়ে ব্যবস্থা করে দেয়। এ ক্ষেত্রে তৃণমূল দ্বিতীয় পদ্ধতি নিয়েছিল। তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দল ৫০ লাখ টাকা ভাড়া এবং ১১ লাখ টাকা সিকিওরিটি ডিপোজিট দিয়ে আইআরসিটিসি-র কাছে বিশেষ ট্রেনের আবেদন করেছিল। প্যান্ট্রি-সহ ২২টি স্লিপার বগির আবেদন ছিল। দল নিশ্চিত ছিল সেই ট্রেন পাওয়া যাবে এবং সঠিক সময়ে হাওড়া থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবে।
তৃণমূল অবশ্য এর পিছনে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির রাজনীতি দেখছে। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই করা হয়েছে। বিজেপি যে তৃণমূলকে ভয় পাচ্ছে এটা তারই প্রমাণ। তবে এ সব করে তৃণমূলকে রোখা যাবে না।’’
বিজেপি নেতারা অবশ্য এ নিয়ে মন্তব্যে নারাজ। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমি রেলের মুখপাত্র নই। তাই রেল কেন ট্রেন দিতে পারছে না সে নিয়ে আমি কোনও কথাই বলতে চাই না।’’