• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সিদ্ধান্ত খারিজ করে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে রায় আদালতের  

কলকাতা, ২৩ জুন – পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একের পর এক মামলায় আদালতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রেহাই মেলেনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল মামলার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক নোটিস দিয়েছিল। শুক্রবার সেই নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যে মনোনয়ন পর্বর শুরু থেকে যে

কলকাতা, ২৩ জুন – পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে একের পর এক মামলায় আদালতে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রেহাই মেলেনি সুপ্রিম কোর্টে গিয়েও। তবে এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল মামলার রায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এক নোটিস দিয়েছিল। শুক্রবার সেই নোটিস খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যে মনোনয়ন পর্বর শুরু থেকে যে হিংসার প্রকাশ ঘটে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায়, তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তাঁদের বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসাবে কমিশনের ডিজি রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করবেন বলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নোটিশ দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
সেই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার মামলার শুনানির শুরুতেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ওই নোটিশ সরাসরি খারিজ করে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি নির্দেশ দেন, স্পর্শকাতর এলাকা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি চিহ্নিত করতে পারবেন না। 
আদালতের এই নির্দেশের পর আদালতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভাঙড়, ক্যানিংয়ের ঘটনার পরই সক্রিয় হয়ে উঠেছিল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।  এবার প্রথমবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আইনি লড়াইয়ে আদালতের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কী করতে চেয়েছিল মানবাধিকার কমিশন?‌ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব জমা থেকেই নানা জায়গা থেকে হিংসার অভিযোগ উঠেছিল বাংলায়। নোটিশ দিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন জানায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একসঙ্গে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিজি। পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটের সময় যে সব এলাকায় গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে, সেই স্পর্শকাতর এলাকাগুলিও চিহ্নিত করবেন ডিজি। স্পর্শকাতর এলাকা চিহ্নিত করে কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন ডিজি। ওই এলাকাগুলিতে পঞ্চায়েত ভোটের সময় বা পরে প্রয়োজনে ‘মাইক্রো হিউম্যান রাইটস অবজ়ার্ভার’ মোতায়নের পরামর্শ দেবেন ডিজি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবং পরে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘন না হয়, তা সুনিশ্চিত করতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিবকেও নোটিস দেয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভোট প্রক্রিয়ায় কী ভাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পদক্ষেপ করতে পারে, এই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শেষমেশ, কমিশনের পক্ষেই রায় দিল আদালত। 
পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নানা চাপান উতোরের সামনে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে । রাজ্যের সব জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  সেই মামলায় রাজ্য এবং কমিশনের আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু তারপরও বাহিনী নিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটেনি। রাজ্যে অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান আনতে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। আইনের লড়াইয়ে বারবারই পিছু হটতে হয়েছে কমিশনকে। এই পরিস্থিতিতে এই প্রথম আইনি লড়াইয়ে আদালতের নির্দেশ রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গেল।