• facebook
  • twitter
Sunday, 24 November, 2024

নিজের নাবালিকা ২ মেয়েকে যৌন হেনস্থায় প্রেমিককে ইন্ধন মায়ের, ঘৃণ্যতম কাজের জন্য মাকে ৪০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিল আদালত 

তিরুঅনন্তপুরম, ২৮ নভেম্বর –  মায়ের ‘ঘৃণ্যতম’ কাজের জন্য পকসো আইনে এক মহিলাকে ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত।  জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।বিচারক আদালতে ভ্যর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘ইনি কোনও রকম ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। মাতৃত্বের নামের লজ্জা এই মহিলা। তাই এঁকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হল।’’ সোমবার এই মামলায় রায় দেয় কেরলের একটিস্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট। 

তিরুঅনন্তপুরম, ২৮ নভেম্বর –  মায়ের ‘ঘৃণ্যতম’ কাজের জন্য পকসো আইনে এক মহিলাকে ৪০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিল আদালত।  জরিমানা করা হয়েছে ২০ হাজার টাকা।বিচারক আদালতে ভ্যর্ৎসনা করে বলেন, ‘‘ইনি কোনও রকম ক্ষমা পাওয়ার যোগ্য নয়। মাতৃত্বের নামের লজ্জা এই মহিলা। তাই এঁকে কঠিনতম শাস্তি দেওয়া হল।’’

সোমবার এই মামলায় রায় দেয় কেরলের একটিস্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট।  মহিলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর প্রেমিক ওই মহিলার দুই নাবালিকা মেয়েকে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতন করে। অথচ মা হয়েও ওই মহিলা তাঁর মেয়েদের রক্ষা না করে প্রেমিককে মদত দিয়েছেন। মহিলার স্বামী জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন।  সেই সময় অসুস্থ স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিকের কাছে চলে আসেন ওই মহিলা। নিয়ে যান নিজের দুই নাবালিকা মেয়েকেও। গোটা ঘটনাটির বর্ণনা দেন সরকার পক্ষের আইনজীবী আর এস বিজয় মোহন। আদালতকে তিনি জানান, অভিযুক্ত মহিলা দিনের পর দিন তাঁর মেয়েদের নিয়ে গিয়েছেন তাঁর প্রেমিকদের কাছে। তাঁর উপস্থিতিতেই নাবালিকা দুই কন্যাকে ধর্ষণ করেন তাঁর দুই প্রেমিক। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বার বার এই ঘটনা ঘটে। বিচারক এই ঘটনার জন্য ওই মহিলাকে ক্ষমা চাইতে বলেন। 

আদালতকে ওই আইনজীবী জানিয়েছেন, ওই মহিলার দুই কন্যার এক জনের বয়স ১২, অন্যজনের বয়স ৮। মানসিক ভাবে অসুস্থ স্বামীকে ছেড়ে এই দুই মেয়েকে নিয়ে প্রেমিকের কাছে থাকতেন ওই মহিলা। প্রথম প্রেমিক শিশুপালনের হাতেই যৌন হেনস্থার শিকার হয় তাঁর বড় মেয়ে। তার বয়স তখন সাত। ঘটনার কথা মাকে জানালেও তিনি মেয়েকে বাঁচানোর কোনরকম চেষ্টা করেননি। বরং তাঁর মদতেই দিনের পর দিন চলতে থাকে  অত্যাচার। বাধ্য হয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই বালিকা। নিজের দিদাকে সে সব কথা জানায়। তিনিই নাতনিকে শিশুদের হোমে পাঠিয়ে উদ্ধার করেন। এরপর ছোট মেয়েটির উপর যৌন নির্যাতন শুরু হয় । আইনজীবী জানিয়েছেন, প্রথম প্রেমিক শিশুপালনের পর দ্বিতীয় প্রেমিকের কাছেও এই মেয়েটিকে নিয়মিত নিয়ে যেতেন মা। তাঁর উপস্থিতিতেই ধর্ষণ এবং যৌন হেনস্থা করা হত নাবালিকাকে ।

আইনজীবী জানিয়েছেন, দুই নাবালিকার দিদা যৌন নির্যাতনের ঘটনা জানতে পারেন। এই ঘটনা অজানাই থেকে যেত যদি না শিশুটি তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা তার দিদিকে না জানাত। আইনজীবী জানিয়েছেন, নিয়মিত যৌন হেনস্থার কারণে শিশুটির গোপনাঙ্গ জখম হয়। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বিষয়টি সে দিদিকে জানায়। তাদের দিদা ঘটনাটি জানান পুলিশকে।

পুলিশ এই ঘটনায় শিশুপালন এবং ওই মহিলার বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। কিন্তু শুনানি চলাকালীন শিশুপালন আত্মহত্যা করায় মামলা চলছিল শুধুমাত্র মায়ের বিরুদ্ধেই। আদালত মোট ২২ জন সাক্ষী এবং ৩৩টি নথির বিচার করে সোমবার এই মামলায় সাজা শুনিয়েছে। তদন্তে উঠে আসে মায়ের প্রেমিক দুই নাবালিকা বোনকেই দিনের পর দিন যৌন হেনস্থা করেছে মায়ের ইন্ধনেই।  এদিকে ট্রায়াল চলাকালীন অভিযুক্ত প্রেমিক আত্মহত্যা করে।