দেশে বেকারত্বের হার বেড়ে ১০ শতাংশ, গত মাসের তুলনায় ২ শতাংশ বাড়ল 

দিল্লি, ৩ নভেম্বর – দেশে বেকারত্বের  হার পেরিয়ে গেল ১০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০ জন যুবক-যুবতীর মধ্যে অন্তত একজন কর্মহীন, রোজগারহীন। অক্টোবর মাসের এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’। পাঁচ রাজ্যের ভোটের ঠিক আগে এই পরিসংখ্যান চিন্তা বাড়াবে বিজেপির।

‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ বা সিএমআইই-র দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী অক্টোবর মাসে দেশে কর্মহীন ছিলেন ১০.৮২ শতাংশ মানুষ, যা গত মাসের
সিএমআইই-র দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবর মাসে দেশে কর্মহীন মানুষের সংখ্যা ছিল ১০.৮২ শতাংশ, যা গত মাসের তুলনায় দুই শতাংশের কিছু বেশি। গত বছর অক্টোবরে এই হার ছিল সাত শতাংশের সামান্য বেশি। গত বছর অক্টোবরে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৪৪ শতাংশ। চলতি বছর টানা ৬ মাস বেকারত্বের হার ৭-৮ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে, যা উদ্বেগজনক।
 
এই পরিসংখ্যানে কর্মহীন শুধু তাঁদের ধরা হয়েছে, যাঁরা কাজ চেয়েও পাননি। ২০২০ সালে লকডাউনের ধাক্কায় বেকারত্ব ভয়ানক আকার ধারণ করে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। সেই থেকে ক্রমেই বেকারত্ব বেড়েছে দেশে। উদ্বেগ বেড়েছে কেন্দ্রের। বর্তমানে বেকারত্ব বাড়ার কারণ হিসাবেও দায়ী করা হচ্ছে কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিকেই। বিরোধীরা করোনার আগে থেকেই বিমুদ্রাকরণ এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালু করা নিয়ে সরব ছিল । তাদের বক্তব্য, এই দুই ভুল সিদ্ধান্তে ছোট দোকানি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প মার খেয়েছে, যেখানে বিপুল কর্মসংস্থান হয়। সেগুলি বেশিরভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন।

কোনও কোনও আর্থিক বিশেষজ্ঞ একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ঢিলেমিকেও গ্রামে কাজের অভাবের কারণ হিসাবে তুলে ধরেছে। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রকল্পে টাকা দেওয়া বন্ধ করে রেখেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, গোটা দেশে এই প্রকল্পে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। ফলে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।

সামনেই ৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ঘটা করে রোজগার মেলা করছে কেন্দ্র। অথচ এর মধ্যে বেকারত্বের এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে চিন্তা বাড়াবে বিজেপির। মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পর থেকেই দাবি করতে শুরু করেছে দেশে কর্মসংস্থানে তারা নজির তৈরি করেছে। যদিও বছরে দু কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের সরকারি প্রতিশ্রুতির কোনও প্রতিফলন রিপোর্টে দেখা যায়নি। উল্টে সরকারের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিপাকে পড়েছেন সরকারি আধিকারিকেরা।