• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

ফুটপাত জবরদখল মুক্ত করতে করা নির্দেশিকা জারি পুর প্রশাসনের 

কলকাতা, ৪ মার্চ – শহরের ফুটপাত আর ফুটপাত নেই, বেশিভাগই জবরদখলকারীদের দখলে।  ফুটপাত বাঁচাতে আন্তঃদফতর সমন্বয়ের ওপর  গুরুত্ব দিল কলকাতা পুরসভা। ফুটপাতের জবরদখল সরাতে পুর ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল, জঞ্জাল অপসারণ ও বিল্ডিং দফতরের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফুটপাত মুক্ত করার ক্ষেত্রে এই তিনটি দফতর নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলবে। এক্ষেত্রে

কলকাতা, ৪ মার্চ – শহরের ফুটপাত আর ফুটপাত নেই, বেশিভাগই জবরদখলকারীদের দখলে।  ফুটপাত বাঁচাতে আন্তঃদফতর সমন্বয়ের ওপর  গুরুত্ব দিল কলকাতা পুরসভা। ফুটপাতের জবরদখল সরাতে পুর ইঞ্জিনিয়ারিং সিভিল, জঞ্জাল অপসারণ ও বিল্ডিং দফতরের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ফুটপাত মুক্ত করার ক্ষেত্রে এই তিনটি দফতর নিজেদের মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি দফতরকেই সমান উদ্যোগী হতে হবে।

পুর প্রশাসনের নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এলাকা-ভিত্তিক ফুটপাত জবরদখলের বিস্তারিত তথ্য দিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এর পাশাপাশি উচ্ছেদ-অভিযানে উপস্থিত থাকতে হবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের প্রতিনিধিকে। নিয়মিত সমন্বয় রক্ষা করতে হবে জঞ্জাল অপসারণ দফতরের সঙ্গে। জবরদখল হওয়া ফুটপাতের অবস্থান সুনির্দিষ্ট করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে পুর বিল্ডিং দফতরকেও নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তাদের বলা হয়েছে, বেআইনি বাড়ি ভাঙার ঠিকাদার সংস্থার তালিকা অন্য দফতরের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হবে। কারণ, উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় অনেক যন্ত্রই জঞ্জাল দফতরের নেই। তাই উচ্ছেদের সময়ে সেই যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পড়লে তা নিয়ে যাতে সমস্যা না হয় এবং সেই যন্ত্র চা‌লানোর দক্ষ কর্মীও যাতে মেলে,  সেদিকে নজর রাখতে হবে ।
ফুটপাত থেকে জবরদখল মুক্ত করতে পুর প্রশাসনের তরফে প্রথম বার কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয় বছর চারেক আগে। কিন্তু পুর প্রশাসনের একাংশের বক্তব্য, ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, উচ্ছেদ-অভিযান সুষ্ঠু ভাবে পালন করা যাচ্ছিল না। অভিযোগ দায়ের করলেও অনেক ক্ষেত্রেই উচ্ছেদ অভিযানে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতেন না ইঞ্জিনিয়ারিং দফতরের প্রতিনিধি। যাবতীয় ঝামেলা পোহাতে হয় জঞ্জাল অপসারণ দফতরের কর্মীদের। এমনকি, কর্মীদের উপরে শারীরিক ভাবে চড়াওয়ের ঘটনাও ঘটে। সেইসব ঝামেলা এড়াতেই নয়া নির্দেশিকা মেনে এবার কাজে হাত দেওয়া হবে।