• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যাম -এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার

দিল্লি, ৬ এপ্রিল – স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যাম -এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে অক্সফাম-এর বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত দিকটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শিশুশিক্ষার বেহাল অবস্থা , ভারতে ক্রমেই বাড়তে থাকা অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অক্সফ্যাম । এবার তাদের বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ

দিল্লি, ৬ এপ্রিল – স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সফ্যাম -এর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।  কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে অক্সফাম-এর বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত দিকটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।  শিশুশিক্ষার বেহাল অবস্থা , ভারতে ক্রমেই বাড়তে থাকা অর্থনৈতিক বৈষম্য নিয়ে একের পর এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অক্সফ্যাম । এবার তাদের বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র।  

অক্সফ্যাম -এর বিরুদ্ধে অভিযোগ , তারা বিদেশী অনুদান আইন লঙ্ঘন করেছে। বলা হয়েছে, করোনার সময় বিদেশী অনুদান আইন সংশোধিত হয়েছিল।  বিদেশী অনুদানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন বেঁধে দেওয়া হয়।  অক্সফ্যাম -এর বিরুদ্ধে অভিযোগ , তারপরও এই সংস্থা বেআইনিভাবে বিদেশী অনুদান নিচ্ছে।  সম্প্রতি সংস্থার কিছু অনিয়ম আয়কর বিভাগের নজরে পড়ে । শুধু তাই নয়, আয়কর বিভাগের দাবি, কিছু বিদেশী সংস্থা অক্সফ্যামকে ব্যবহার করে বিদেশ থেকে অনুদান সংগ্রহ করছে।  ভারতে সামাজিক কাজকর্মের জন্যই নথিভুক্ত হয় অক্সফ্যাম ।  
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, সামাজিক কাজকর্মের নিরিখে ২০১০ সালের বিদেশী অনুদান আইনে নথিভুক্ত ছিল অক্সফ্যাম । ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল। কিন্তু প্রচুর অনিয়মের দরুন তাদের লাইসেন্স পুনর্নবীকরণ হয়নি।  ২০২১ সালের ২২ ডিসেম্বর অক্সফ্যাম -এর লাইসেন্স পুনর্নবীকরনের আর্জি খারিজ করে কেন্দ্র। সেই নিয়ে চলছে আইনি লড়াই। এই বছরই ফেব্রুয়ারী মাসে অক্সফ্যাম -এর লাইসেন্স নিয়ে কেন্দ্রের অবস্থান জানতে চায় দিল্লি হাইকোর্ট।  
২০০৮ সালে স্বাধীন সংস্থা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সংস্থাটি ।  উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড, ছত্তিসগড়, অসম, ওড়িশা, এই ছয়টি দরিদ্র দেশ দিয়ে কাজ শুরু করে তারা।  ২০১৩ সালে স্বেসচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে নাম নথিভুক্ত হয়।  গত ১০ বছর ধরে অসম, বিহার, কেরল, কাশ্মীর, মনিপুর, গুজরাট, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গ, ওডিশা, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে তারা।  কার্গিল যুদ্ধ, কোকরাঝাড় হিংসা, মুজফফরনগর হিংসার মতো ঘটনায় তারা সাহাজয়ের হাত বাড়িয়ে দেয় ।   এবার তাদের বিরুদ্ধেই তদন্তের নির্দেশ অমিত শাহের মন্ত্রকের।