দিল্লি, ২৫ মার্চ — গুজরাতের আদালতের জেল সাজা ঘোষণার পর জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের যে ধারায় রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে সেই ৮(৩) ধারাই এবার সংশয়ের আওতায়। তা নিয়েই এবার সুপ্রিম কোর্টে গেলেন সমাজকর্মী আভা মুরলীধরণ । এবার ওই ধারার সাংবিধানিক বৈধতার প্রশ্ন তুলে মামলা হল সুপ্রিম কোর্টে ।
এদিকে রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে রাহুল দাবি করলেন, আদানি ইস্যুতে তাঁর ভাষণে ভীত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সংসদে তাঁর নামে মিথ্যাচার থেকে শুরু করে সাংসদ পদ খারিজ, সবটাই শুধু আদানি ইস্যুতে তাঁকে চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা মাত্র।
বর্তমান রায়ের উপর স্থগিতাদেশ মিললেই সাংসদ ফিরে পদ ফিরে পেতেও অসুবিধা হবে না কংগ্রেস নেতার। এই অবস্থায় সাংসদ পদ খারিজের ৮(৩) ধারাকেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন সমাজকর্মী আভা মুরলীধরন।
উল্লেখ্য, ৯ বছর আগে নিজের করা ভুলেই ‘রক্ষাকবচ’ হারিয়েছেন রাহুল গান্ধি । তাঁর পদ রক্ষার পথে অন্তরায় হয়েছে ২০১৩ সালের সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়। ঘটনাচক্রে, এক দশক আগে ওই রায় কার্যকর করার পথ প্রশস্ত করেছিলেন তিনি নিজেই। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আনা অধ্যাদেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। এর পর ৮(৩) ধারা কার্যকর হয়। এক দশক পর সেই জনপ্রতিনিধিত্ব আইনেই সাংসদ পদ খুঁইয়ে অস্বস্তিতে সোনিয়াপুত্র।
বৃহস্পতিবার মোদি পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে অপরাধমূলক মানহানির মামলায় গুজরাটের একটি আদালত দু’বছরের সাজা ঘোষণা করে রাহুলের। এরপর শুক্রবার ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর ধারা মেনে কংগ্রেস নেতার সাংসদ পদ খারিজ করেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। যদিও কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, ”আমি শুধু সত্য নিয়ে চিন্তিত। সত্য প্রকাশ করাই আমার কাজ। আমি যদি সাংসদ না থাকি বা আমাকে যদি গ্রেপ্তার করা হয়, তাও এই কাজ আমি করে যাব।” মোদি মন্তব্যের জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলেও সাফ জানিয়েছেন রাহুল। তাঁর বক্তব্য, “আমার নাম সাভারকর নয়, আমার নাম গান্ধী। আমি ক্ষমা চাইব না। গান্ধীরা ক্ষমা চায় না।