• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

সন্ত্রাস ছাপিয়ে শিক্ষকের মাথা কেটে স্কুলেই টাঙিয়ে দিল বার্মিজ সেনা 

নেপিডো , ২২ অক্টোবর– মায়ানমার এখন সেনার কবলে। সরকারি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে উঠছে গণহত্যা, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগ। কিন্তু সেই সব অপরাধ ছাপিয়ে এবার অভিযোগ, সম্প্রতি বিরোধী পক্ষের সমর্থকদের ‘শিক্ষা দিতে’ একজন শিক্ষকের মাথা কেটে স্কুলেই ফেলে রাখে বার্মিজ সেনা। স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার মায়ানমারের

নেপিডো , ২২ অক্টোবর– মায়ানমার এখন সেনার কবলে। সরকারি সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা। সামরিক জুন্টার বিরুদ্ধে উঠছে গণহত্যা, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগ। কিন্তু সেই সব অপরাধ ছাপিয়ে এবার অভিযোগ, সম্প্রতি বিরোধী পক্ষের সমর্থকদের ‘শিক্ষা দিতে’ একজন শিক্ষকের মাথা কেটে স্কুলেই ফেলে রাখে বার্মিজ সেনা।

স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সূত্রে খবর, গত বৃহস্পতিবার মায়ানমারের মাগওয়ে প্রদেশের টাউং মিন্ট গ্রামের একটি স্কুলে হানা দেয় সরকারি বাহিনী। জেরার পর সও তুন মোয়ে নামের একজন শিক্ষককে আটক করে তারা। কিছুক্ষণ পর ৪৬ বছরের অই শিক্ষককে গলা কেটে হত্যা করে বার্মিজ সেনার জওয়ানরা। তারপর স্কুলগেটে লোহার রডে তাঁর মাথাটি গেঁথে দেহটি স্কুলেই ফেলে রাখে তারা। এতেই ক্ষান্ত না হয়ে স্কুলটিতে আগুন লাগিয়ে দেয় সেনা বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই দেশটিতে চলছে তুমুল যুদ্ধ। টাটমাদাও বা বার্মিজ সেনার দাবি, দেশে সন্ত্রাস চালাচ্ছে সশস্ত্র জঙ্গি সংগঠনগুলি। অন্যদিকে বিদ্রোহীদের দাবি সাধারণ নাগরিককে নিশানা করছে সরকারি বাহিনী। এই লড়াইয়ের ফলে সংঘাতের কেন্দ্রে থাকা এলাকাগুলিতে প্রায় এক বছর থেকে বন্ধ স্কুল-কলেজ। হাসপাতালগুলিও ধুঁকছে। বিশ্লেষকদের মতে, আমজনতার একটি বড় অংশ বিদ্রোহীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। তাই সন্ত্রাস ছড়িয়ে সাধারণ মানুষজনদের উপর লাগাম টানতে চাইছে জুন্টা।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে একটি স্কুলে হেলিকপ্টার থেকে প্রচণ্ড গুলিবৃষ্টি করে সেনার হেলিকপ্টার। ওই হামলায় প্রাণ হারায় ছয় শিশু। আহত হয় অন্তত ১৭ জন। তবে এক বিবৃতিতে সরকারি বাহিনী দাবি করে, একটি বৌদ্ধমঠে অবস্থিত স্কুলটিতে ঘাঁটি গেড়েছিল সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন ‘কাচিন ইন্ডিপেনডেন্স আর্মি‘। রয়েছে ‘পিপল’স ডিফেন্স গ্রুপ’ সংগঠনের ‘সন্ত্রাসবাদীরা’। তাদের হঠিয়ে দিতেই হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনী আরও দাবি করে, তল্লাশি অভিযানের সময় জওয়ানদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জবাবে সেনা জওয়ানরা গুলি ছোঁড়ে। সেই হামলায় কয়েকজন গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়।