বিলাসপুর, ১৭ অক্টোবর – দরিদ্র পরিবারের মেয়ের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়েছিলেন গুরুগ্রামের এক পরিবার। কনের বাড়ি থেকে কোন পণও নেননি। বিয়ের খরচ সামলাতে কনের বাড়িকে অর্থ সাহায্যও করেছিলেন ছেলের বাবা অশোক কুমার। তিনি শুধু চেয়েছিলেন তাঁদের ছেলে সুখে ঘর-সংসার করুক। কিন্তু সেই ভাবনা ছিল সম্পূর্ণ ভুল. ভস্মে ঘি ঢেলে বিয়ের দ্বিতীয় দিনেই চম্পট দিল কনে। শুধু তাই নয়, নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং বেশ কিছু গয়নাও সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার গুরুগ্রামের বিলাসপুর এলাকায়। কনে পালিয়ে যাওয়ার পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ছেলের বাড়ির লোকজন। অনুমান, চুরির পরিকল্পনা করেই বিয়ে করেছিলেন সেই তরুণী। ঘটনার পর রীতিমতো ভেঙে পড়েছেন বরের বাবা অশোক কুমার। তিনি নিজেই মেয়ের খোঁজ নিয়ে এসে বিয়ে দিয়েছিলেন ছেলের সঙ্গে। অশোক জানিয়েছেন, ছেলের পাত্রী খোঁজার সময়ই মন্জু নামে মহিলার সঙ্গে আলাপ হয় তাঁর। সেই মহিলাই অশোকের ছেলের জন্য পাত্রীর খোঁজ এনেছিলেন ।
অশোক বলেন, “আমায় বলা হয় পাত্রীর নাম প্রীতি। খুবই ভদ্র মেয়ে, কিন্তু পরিবারের অবস্থা ভাল নয় । তাই কোনও পণ দিতে পারবে না। আমিও চাইনি বিয়ের জন্য যৌতুক নিতে। ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যাই।” তিনি জানান, এরপরই বিয়ের কথা পাকা হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, মেয়ের পরিবারের কথা ভেবে তাঁদের বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য এক লক্ষ টাকা এবং জামাকাপড় দিয়ে সাহায্যও করেন তিনি।
গত ২৬ জুলাই ওই কনের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দেন অশোক। রাতে পারিবারিকভাবে ছোট অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়। কিন্তু পরেরদিন সকাল থেকেই হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যান ওই তরুণী। কোনওভাবেই আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। অশোক বুঝতে পারেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার প্রতারিত হয়েছেন। কারণ ঘরে থাকা নগদ টাকা এবং গয়নাও ছিল না। এরপর মঞ্জু নামের ওই মহিলা প্রীতিকে খুঁজতে সাহায্যের আশ্বাস দিলেও কিছু করেননি।