• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

যুদ্ধকালীন পরিস্তিতিতে জোশীমঠ খালি করানোর প্রক্রিয়া শুরু করলো প্রশাসন

দেহরাদূন, ৬ জানুয়ারি– বিগত কয়েক দিন ধরে স্থানীয়দের লাগাতার বিক্ষোভের পর শুরু হল জোশীমঠ খালি করে দেওয়ার কাজ। শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জোশীমঠের পরিবারগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার জোশীমঠে গভীর ফাটল তৈরি হয়। শত শত বাড়ি মাটির তলায় চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতেই তড়িঘড়ি ওই এলাকায় থাকা পরিবারগুলিকে সরিয়ে ফেলতে তৎপর

দেহরাদূন, ৬ জানুয়ারি– বিগত কয়েক দিন ধরে স্থানীয়দের লাগাতার বিক্ষোভের পর শুরু হল জোশীমঠ খালি করে দেওয়ার কাজ। শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তরাখণ্ড সরকারের তরফে জোশীমঠের পরিবারগুলিকে সরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জোশীমঠে গভীর ফাটল তৈরি হয়। শত শত বাড়ি মাটির তলায় চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতেই তড়িঘড়ি ওই এলাকায় থাকা পরিবারগুলিকে সরিয়ে ফেলতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে কিছু পরিবারকে প্রশাসনের তরফে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে, এ রকম ৪৭টি পরিবারকে ইতিমধ্যেই আশ্রয় শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গাড়োয়াল হিমালয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই জনপদ কেন ধীরে ধীরে মাটির নীচে তলিয়ে যাচ্ছে, তা খুঁজে বার করতে রাজ্য সরকারের তরফে বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করা হয়েছে।

উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামী জানিয়েছেন, জোশীমঠের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তিনি নিজেও পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে করতে জায়গাটি পরিদর্শন করে দেখেছেন।

প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক দিন ধরেই ক্রমাগত বসে যাচ্ছে জোশীমঠের জমি। ফাটল ধরছে একের পর এক বাড়িতে। রাস্তাতেও যেখানে সেখানে ফাটল ধরতে দেখা যাচ্ছে। জোশীমঠের এই ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতে পথে নামেন।

মাটি বসে যাওয়ার কারণে এ পর্যন্ত চামোলি জেলার এই শহরে সাড়ে পাঁচশোরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সিংধর জৈন, মাড়ওয়ারি, জেপি কলোনির মতো শহরের বেশ কিছু অঞ্চলে প্রতিদিন মাটি বসে গিয়ে নতুন করে ফাটল দেখা দিচ্ছে ঘরবাড়িতে।