ভদোদরা, ৩১ অক্টোবর– ১৪১ জনের জলসমাধি হল গুজরাটের ভেঙে পড়া ব্রিজের কারণে। তবে এই মৃত্যুর পেছনে কারণ খুঁজতে গিয়ে যা উঠে এসেছে তা হল, এই সেতুটির কোন ফিটনেস সার্টিফিকেটই ছিল না। ২৩৩ মিটার লম্বা এবং সওয়া এক মিটার চওড়া সেতুটির বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। এত পুরনো ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণে মোটেই নজর দেয়নি সরকার, সেই জন্যই ঘটে গেল এত বড় মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। উল্টে ভোটের কথা মাথায় রেখে বেশিই তাড়াহুড়ো করা হয়েছে সেতু খোলার জন্য। আর তার খামিয়ানা দিতে হল ১৪১ জনের প্রাণ দিয়ে। গুজরাতের মোরবি এলাকায় মাচ্ছু নদীর উপর কেবল ব্রিজ ভেঙে প্রায় দেড়শো মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের।
সম্প্রতি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল সেতুটি। সাত মাস ধরে চলেছে মেরামতি। তার পরে দিন চারেক আগেই তা উন্মুক্ত করা হয় জনসাধারণের জন্য। কিন্তু দুর্ঘটনা-পরবর্তী ছানবিন বলছে, মেরামতির পরে মিউনিসিপ্যালিটির তরফে ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও পায়নি ওই সেতু। তার আগেই সাত-তাড়াতাড়ি তা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে এবং অবাধে উঠতেও দেওয়া হয়েছে শয়ে শয়ে মানুষকে! স্থানীয়দের অভিযোগ, এত দিন ধরে এত কোটি টাকা খরচ করে সংস্কারের পরেও এই পরিণতি ঘটেছে, যার অর্থ দুর্নীতি হয়েছে সংস্কারের কাজে।
মোরবি পুরসভার মুখ্য অফিসার সন্দীপসিন জালা জানিয়েছেন, ‘ওরেভা নামের একটি বেসরকারি সংস্থা গত ১৫ বছর ধরে ব্রিজটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে তারা ব্রিজটির সংস্কারের কাজ শুরু করে। তখন থেকেই ব্রিজ বন্ধ রাখা হয়। এর পরে ২৬ অক্টোবর গুজরাতি নববর্ষ উপলক্ষে ব্রিজটি ফের খোলা হয়। কিন্তু স্থানীয় পুরসভা খোলার অনুমতি দেয়নি।’