কিয়েভ, ১ অক্টোবর– ইউক্রেনে ভয়াবহ হামলা চালাল রাশিয়া। কিয়েভের দাবি, জাপরজাই অঞ্চলে রুশ বাহিনীর হামলায় দুই নাবালক-সহ মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। সূত্রের খবর, শুক্রবার সাধারণ নাগরিকদের একটি কনভয়কে নিশানা করে পুতিন বাহিনী।
সংবাদ এএফপি সূত্রে খবর, ইউক্রেনের জাপরজাই অঞ্চলের বেশকিছু জায়গা এখনও রাশিয়ার দখলে। ইউক্রেনের পুলিশপ্রধান ইগর ক্লিমেঙ্কো বলছেন, “জাপরজাই অঞ্চলে রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ৮৮ জন গুরুতর আহত। তাঁরা সকলেই সাধারণ নাগরিক। নিহতদের মধ্যে দু’জনের বয়স এগারো ও চোদ্ধ বছর। একটি তিন বছরের শিশুও আহত হয়েছে। নিরীহ মানুষের উপর এই হামলা যুদ্ধাপরাধ। আমরা একজন পুলিশকর্মীকেও হারিয়েছি। আহতদের মধ্যে ২৭ জন পুলিশকর্মীও রয়েছেন।”
জাপরজাই প্রদেশের গভর্নর ওলেকসান্দ্র স্তারুক জানিয়েছেন, প্রদেশটির রুশ অধিকৃত অঞ্চলে ঢোকার জন্য অপেক্ষা করছিল একটি অসামরিক কনভয় বা সাধারণ মানুষের বেশ কয়েকটি গাড়ি। তাদের নিশানা করে রকেট হামলা চালায় রাশিয়ার সেনাবাহিনী। একের পর এক রকেট আছড়ে পড়ে গাড়িগুলিতে। ফলে প্রাণ হারান অনেকেই।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার গণভোটের পর অধিকৃত ইউক্রেনের ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের (একত্রে দোনবাস) পাশাপাশি খেরসন ও জাপোরজাই শহর আনুষ্ঠানিকভাবে রুশ ভূখণ্ডে শামিল করার কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বিশ্লেষকদের মতে, দোনবাস অঞ্চলে মূলত রুশ ভাষী জনতার সংখ্যাই বেশি। ফলে বেশ কয়েকবছর থেকেই সেখানে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার একটি লড়াই চলছিল। এবার সেই সুযোগই কাজে লাগিয়েছেন পুতিন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের থেকে কৃষ্ণসাগর লাগোয়া ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ছিনিয়ে নেওয়ার পর ওই অঞ্চলকেও ‘স্বশাসিত’ ঘোষণা করেছিলেন পুতিন।
উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারির ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। তারপর থেকে ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াই চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। শুরুতে ধাক্কা খেলেও কিন্তু ক্রমশ পায়ের তলায় শক্ত জমি ফিরে পাচ্ছে কিয়েভ। গত জুলাই মাসে, স্নেক আইল্যান্ড হাতছাড়া হওয়ার কথা স্বীকার করেছে রাশিয়া।