দিল্লি, ৩০ আগস্ট– প্রায় ৭ বছর খোঁজার পর অবশেষে ধরা পড়ল খুনি। তাও তারার দৌলতে। তারা মানে আকাশের তারা নয় হাতে আঁকা উল্কি করা তারা। জানা গেছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাসে পালঘরে সুভাষচন্দ্র ওরফে ভালু রামসাগর গুপ্তা নামে এক যুবকের সঙ্গে কোনও কারণে ঝামেলা হয়েছিল ২৮ বছরের শিব ও তার দলবলের। তাতেই রাগের মাথায় সুভাষচন্দ্রকে শ্বাসরোধ করে খুন করে তারা। এরপর মৃতের মোটরসাইকেল এবং গয়না চুরি করে দেহটি একটি বস্তায় ভরে ফেলে দিয়ে আসে অভিযুক্তরা।
সেই ঘটনায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ওই দলের ৩ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু মূল অভিযুক্তকে কিছুতেই পাকড়াও করা যাচ্ছিল না। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তের হাতে একটি ট্যাটু রয়েছে, যাতে তার নাম লেখা রয়েছে। সেই সঙ্গে কয়েকটি ‘তারা’ আঁকা রয়েছে। তদন্তকারীরা খোঁজ পান, অভিযুক্ত বর্তমানে চিত্রকূটে লুকিয়ে রয়েছে। তার একটি ঝাপসা ছবিও এসে পৌঁছায় পুলিশের হাতে।
এরপরেই উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাত থেকে নাম লেখা ট্যাটুর অনেকটাই মুছে ফেলেছিল শিব। তবে তারাগুলি তখনও ছিল। তা দেখেই তাকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।