টাটা মোটরসকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের, নির্দেশ দিল ট্রাইবুনাল 

কলকাতা, ৩০ অক্টোবর – টাটা মোটরসকে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। শুধু তাই নয়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে ওই টাকার উপর ১১ শতাংশ হারে সুদও দিতে হবে। সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা বন্ধের পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইবুনাল এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানানো হয়েছে টাটা গোষ্ঠীর তরফে। ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান সময় ধরলে ৭ বছর পেরিয়েছে। এই সাত বছরে সহজ ১১ শতাংশ হারে সুদেড় হিসেবে ধরলে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক দাঁড়ায় ১৩৫৫ কোটি টাকা। রাজ্য সরকার যতক্ষণ না ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে ততক্ষণ এই সুদ গুণে যেতে হবে। যদিও সরকারের তরফে এই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করার জন্য আইনি পথ খোলা আছে বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। 

সোমবার ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে টাটার তরফে বলা হয়, ‘২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর তিন সদস্যের আরবিট্রাল ট্রাইবুনালে সিঙ্গুর অটোমোবাইল কারখানা মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। ট্রাইবুনাল টাটা মোটরসকে ৭৬৫.৭৮ কোটি টাকা দিতে বলেছে। এছাড়া ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ না পাওয়া পর্যন্ত ১১ শতাংশ সুদ দিতে বলা হয়েছে। ‘

টাটা যে ট্রাইবুনালে জিতেছে তা তারাই স্টক এক্সচেঞ্জ ফাইলিংয়ে জানিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, ট্রাইবুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মত ভাবে তাদের পক্ষে রায় দিয়েছে।  টাটা মোটরস লিমিটেড  এবং পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের মধ্যে এই মামলা চলছিল। টাটার বক্তব্য ছিল, সিঙ্গুরে গাড়ি কারখানা তৈরি করতে গিয়ে তাদের মূলধন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতির দায় রাজ্য সরকারের। এই মামলায় টাটা গোষ্ঠী শুধু জেতেনি, মামলা লড়ার খরচ বাবদও ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ পাবে তারা। 


২০০৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর ন্যানো প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু করলে অনেকে জমি দিতে অস্বীকার করেন। সেই সময় অনিচ্ছুক চাষিদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিরোধী দল তৃণমূল। আন্দোলনের জেরে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয় ন্যানো প্রকল্প। টাটা গোষ্ঠী এই রাজ্য থেকে তাদের প্রকল্প তুলে নেয়।