জম্মু-কাশ্মীর, ১৭ অক্টোবর– মেহবুবার পর এবার ফারুক আবদুল্লাহ। তিনিও চাইছেন পাকিস্তানের সঙ্গে বসুক দিল্লি। এর আগে পিডিপি নেত্রী তথা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বেশ কয়েকদিন ধরে দাবি করে আসছেন, জম্মু-কাশ্মীরে হিংসা বন্ধে এখনই পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসা দরকার ভারতের। এরপর সোমবার আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক আবদুল্লাহ একই দাবি তুললেন।
যদিও ফারুকের বক্তব্য আমল দিতে নারাজ কেন্দ্র সরকার। কয়েকদিন আগেই জম্মু সফরে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, সেই সফরেই শাহ ঘোষণা করেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রশ্নই ওঠেনা। যারা সন্ত্রাসে মদত দিচ্ছে তাঁদের সঙ্গে কীসের আলোচনা!
ফারুক আবদুল্লাহর বক্তব্য, পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার দরজা বন্ধ রেখে উপত্যকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা কঠিন।
গত পরশু শপিয়ানে পূরণ ভাট নামে কাশ্মীরি পণ্ডিত সমাজের আরও একজন বাসিন্দা জঙ্গিদের টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হয়েছেন। এর আগেও পণ্ডিত সমাজ এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের বেশ কয়েকজন টার্গেট কিলিংয়ের শিকার হন। প্রত্যেক ঘটনাতেই পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেছে।
দিন কয়েক আগে কাশ্মীর সফরে গিয়ে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ যদিও দাবি করেন, হিংসা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। ভোটের আগে তা শূন্যে নামিয়ে আনা হবে।
আজ ফারুক বলেন, বিজেপি ও তাদের সরকার দাবি করত, সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের কারণেই নাকি উপত্যকায় সন্ত্রাস থামানো যাচ্ছে না। অথচ তিন বছর হয়ে গেল, ওই অনুচ্ছেদ বাতিল হয়েছে। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে জবাব দিতে হবে, কেন থামছে না সন্ত্রাস।
ফারুক আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক হাত নেন। বলেন, মোদি রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টদের বলছেন যুদ্ধ থামিয়ে আলোচনায় বসতে। বলেছেন, যুদ্ধ কোনও পথ নয়। সেই প্রধানমন্ত্রী তবে জম্মু কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য কেন পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন না। ফারুকের বক্তব্য সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কেউ প্রতিক্রিয়া দেননি। তবে সরকারি সূত্রে খবর, পাকিস্তানের সঙ্গে এখনই শান্তি আলোচনায় বসার কোনও বাসনা মোদি সরকারের নেই।
ফারুক আজ এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করতে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধের প্রসঙ্গও তুলেছেন। তিনি বলেন, সীমান্ত নিয়ে চিনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বসছে ভারত। তাহলে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠকে বসতে আপত্তি কেন।