শুধু মোবাইল নয়, ফ্যানেও বিরক্তি জনপ্রিয় অভিনেতার

চেন্নাই: না না করে তার ফ্যান-ফলোয়ারের সংখ্যা কম নয়৷ হবেই না কেন তিনি তো তামিল সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা৷ বহু হিট ফিল্মের তিনি নায়ক অজিত কুমার৷ কিন্তু ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে যেখানে ডিজিটাল মাধ্যমই অভিনেতাদের প্রধান ভরসা৷ সেখানে দাঁড়িয়ে অজিত কুমার নাকি ফোন ব্যবহার করেন না৷ ভাবা যায়!
৫২ বছর বয়সেও এসে একের পর এক সুপারহিট ছবি দিয়ে যাচ্ছেন৷ ২০২২ ও ২০২৩ সালে বক্স অফিসে ঝড় তুলেছেন ‘বালিমাই’, ‘থুনিবু’র মতো সিনেমা দিয়ে৷ অজিত কুমার জীবনযাপনের ক্ষেত্র অন্য ধারায় বিশ্বাসী৷ এই সময়ে এসেও ব্যবহার করেন না মোবাইল ফোন! কেবল এটিই নয়, অজিত সম্পর্কে আরও অনেক চমকে দেওয়ার মতো তথ্যও আছে৷
জানা গেছে আজকের অভিনেতা বা বিখ্যাত ব্যক্তিরা যেমন বেশির ভাগ তারকাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন৷ ছবির খবর তো বটেই, তারকাদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে ঢুঁ মারলে জানা যায় তাঁদের যাপিত জীবনের অনেক কিছুই৷ তাতে একদম সায় নেই অজিতের৷ ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্টই নেই তাঁর৷ ভক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তাঁর ম্যানেজারের টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে৷
শুটিং ছাড়া বাকিটা সময় নীরবে-নিভৃতে কাটাতে পছন্দ করেন তিনি৷ জানা যায়, নতুন ছবির শুটিংয়ের সময় কেবল ফোন ব্যবহার করেন অজিত কুমার৷ শুটিং শেষ হলেই সিমকার্ড ফেলে দেন৷ পরের ছবি শুটিংয়ে আগে আবারও নতুন সিমকার্ড নেন৷ তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ ফোনকল এড়াতেই ফোন ব্যবহার করেন না তিনি৷ সাক্ষাৎকারেও আগ্রহ নেই অজিত কুমারের৷ নতুন ছবি মুক্তির আগে অনেক তারকাকেই দেখা যায় ভারতজুড়ে ছবির প্রচার করতে৷ কিন্ত্ত অজিত কুমার ছবির প্রচারের কোনো অনুষ্ঠানেই হাজির থাকেন না৷ প্রায় সব দক্ষিণি তারকারই বড় ভক্ত-সমর্থক গোষ্ঠী আছে৷ কিন্ত্ত ফ্যান ক্লাবের ধার ধারেন না এই অভিনেতা৷ তাঁর মতে, ফ্যান ক্লাব তাঁর নাম ব্যবহার করে এমন অনেক কাজ করে, যা তিনি সমর্থন করেন না৷ সে জন্যই ২০১১ সালে তাঁর ফ্যান ক্লাবের বিলুপ্ত ঘোষণা করেন৷
তবে অজিতের আরেক পরিচয়ও আছে৷ অভিনেতা ছাড়াও অজিত কুমার একজন রেসিং ড্রাইভারও বটে৷ ভারত ও ভারতের বাইরে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তিনি৷ অজিত কুমারের সর্বশেষ সিনেমা ‘থুনিবু’ বক্স অফিসে প্রায় আড়াই শ কোটি আয় করে৷ সামনে অভিনেতাকে দেখা যাবে ‘ভিদা মুয়ার্চি’ সিনেমায়৷ ২০২৪ সালে মুক্তি পাবে ছবিটি৷