প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সমালোচনায় তালা বেজিংয়ের

বেইজিং, ১৫ অক্টোবর– জিনপিং-বিরোধী কণ্ঠস্বর রোধ করতে বেজিং-এর যে জবাব নেই তা সবারই জানা । ফের জিংপিংয়ের বিরোধীদের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত জিনপিং সরকার। সিপিসি-র পার্টি কংগ্রেসের আগে দেশজুড়ে নেমে এসেছে সেন্সরের খাঁড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সমালোচনায় করা পোস্ট, হ্যাশট্যাগ ও কি-ওয়ার্ড মুছে ফেলা হচ্ছে। নজরদারি এতটাই কড়া যে হংকংয়ের নেটদুনিয়াও তালা লেগে গেছে। 

আগামীকাল, ১৬ অক্টোবর শুরু হচ্ছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ২০তম অধিবেশন। আর রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে পুনর্নিবাচনের আগে যে জিনপিং চাপে রয়েছেন তা পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেজিংয়ের রাজপথে দেখা গিয়েছে ‘বিশ্বাসঘাতক একনায়ক’ লেখা ব্যানার। পরে জিনপিংয়ের রক্তচক্ষুর ধাক্কায় সরিয়ে নেওয়া হয় সেই ব্যানার। স্টিফেন ম্যাকডনেল নামের এক সাংবাদিক একটি ছবি শেয়ার করেন টুইটারে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, বেজিংয়ের থার্ড রিং রোড ব্রিজে ঝুলছে ওই ব্যানার। পাশে আগুনও জ্বলতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক কী লেখা হয়েছে ওই ব্যানারে? সেখানে লকডাউনের সমাপ্তি চেয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় বৈপ্লবিক পরিবর্তনের ডাক দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি লেখা রয়েছে, ‘আমরা ক্রীতদাস হতে চাই না। ভোট দিতে চাই।’ আরেকটি ব্যানারে লেখা রয়েছে, ‘আমরা কোভিড পরীক্ষা চাই না, চাই খাবার। লকডাউন চাই না, চাই স্বাধীনতা।’

এহেন পরিস্থিতিতে সমালোচকদের উপর রাশ টানতে তৎপর হয়েছে প্রশাসন। শুরুতেই বিক্ষোভ দমিয়ে দিতে কাজ শুরু করেছে তারা। যে হংকং বরাবর জিনপিংয়ের পদত্যাগ দাবি করে এসেছে, সেখানেও অদ্ভুত নীরবতা দেখা যাচ্ছে। এর অর্থ নেটদুনিয়ায় কাঁচি চালাচ্ছে চিনা সেন্সর বোর্ড।

আমেরিকা থেকে ফ্যাং শিমিন নামের এক চিনা  লেখক দাবি করেছেন, বেজিংয়ের পথে ব্যানারগুলি টাঙিয়েছিলেন পেং লিফা নামের এক প্রতিবাদী। নেটদুনিয়ায় তাঁর পরিচয় পেং জাইঝউ নামে। ‘রিসার্চগেট’ নামের একটি ওয়েবসাইটে শি জিনপিংয়ের সমালোচনায় বেশকিছু পোস্ট করেন তিনি। কিন্তু সেন্সরের মারে এখন সেগুলি আর দেখা যাচ্ছে না।