উইকএন্ডে ঘুরে আসুন রাঁচির এই অফবিট ডেস্টিনেশনে।

রাঁচি:- ম্যাকলাস্কিগঞ্জ এই নামটি অনেকের কাছে অজানা, আবার কারও পছন্দের উইকএন্ড ডেস্টিনেশন। এখানে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের জন্য স্থাপিত হয়েছিল কলোনাইজেশন সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া। এরপর ১৯৩৩ সালে ১ হাজার একর জমিতে তৈরি হয় ব্রিটিশ-ভারতের প্রথম অ্যাংলো ইন্ডিয়ান কলোনি। কোঙ্কা, ল্যাপরা, হেসালং, মাহুলিয়া, ডুলি ও রামদাগা—এই ছয় গ্রাম নিয়ে গড়ে ওঠে কলোনি। তখন ৩০০ পরিবারের বাস ছিল এখানে। জানা গিয়েছে, বুদ্ধদেব গুহর অনেক গল্পে এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জের বর্ণনা পাওয়া যায়। একসময় বাঙালিরা হাওয়া-বদলের জন্য আসতেন এই ম্যাকলাস্কিগঞ্জে। আর এখানকার আবহাওয়াও মনোরম। পাহাড়ি নদী, জঙ্গল, ঝর্না নিয়ে গড়ে উঠেছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। সাহেবদের পরিত্যক্ত বাংলোর পাশ দিয়ে, ঘন সবুজ জঙ্গলের মধ্য দিয়ে, পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটতে হাঁটতে ঘুরতে পারেন এই পাহাড়ি জনপদ। সাহেবদের কলোনি হলেও ম্যাকলাস্কিগঞ্জ মুন্ডা, ওঁরাও আদিবাসীদের জায়গা। অসংখ্য সাহেবি বাংলোর মাঝে ঘুরে নিতে পারেন ম্যাকলাস্কি সাহেবের স্মৃতিতে গড়া স্মৃতি সৌধ। ম্যাকলাস্কিগঞ্জের প্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে দামোদর ও চট্টি নদী। হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারেন সেখানেও। ম্যাকলাস্কিগঞ্জকে পাখির চোখ দিয়ে দেখার জন্য যেতে পারেন হেসালাং ওয়াচ টাওয়ারে। এছাড়া যেতে পারেন ডেগাডেগি নদী ও কুমারপাত্রা নদী। নদীর তীরগুলো এক-একটা জনপ্রিয় পিকনিক স্পট। তবে, এখানকার দৃশ্য ও শান্ত পরিবেশ সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে। মায়াপুর জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে যেতে পারেন নাট্টা পাহাড়ের উপর। এখানে বসে উপভোগ করতে পারেন সূর্যাস্ত। উইকএন্ড কাটিয়ে আসতে পারেন ম্যাকলাস্কিগঞ্জ থেকে। যদিও বছরের যে কোনও সময় আপনি ম্যাকলাস্কিগঞ্জে হাওয়া-বদলের জন্য যেতে পারেন। হাওড়া থেকে একমাত্র শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস সোজা যায় ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। কিন্তু সেটা নামায় মাঝরাতে। তাই রাতের ঝক্কি এড়াতে আপনি রাঁচিগামী ট্রেন ধরতে পারেন। রাঁচি থেকে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ ৫৬ কিলোমিটার। রাঁচি থেকে গাড়ি পেয়ে যাবেন ম্যাকলাস্কিগঞ্জ যাওয়ার। ম্যাকলাস্কিগঞ্জে থাকার জায়গা খুব কম। তাই আগে থেকে সেই হাতে গোনা হোটেল, কটেজগুলো বুক করে রাখাই ভাল।