নাইপিদাও, ১২ অক্টোবর– ফের সাজার মেয়াদ বাড়ল মায়ানমারের নেত্রী সু কির। দুর্নীতির আরও একটি মামলায় দোষী প্রমাণিত হয়েছেন আং সান সু কি। বুধবার ফের তাঁকে তিন বছর জেলের সাজা দিয়েছে আদালত। ফলে নেত্রীর কারাবাসের মোট মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াল ২৬ বছর।
তবে রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ, রাজনীতি থেকে সু কি’কে দূরে রাখতে এটা জুন্টার ষড়যন্ত্র।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিন রাজধানী নাইপিদাওর একটি ডিটেনশন সেন্টারে শু কি-র শুনানি হয়। জুন্টা নিয়ন্ত্রিত জেলটিতে রায় ঘোষণা করে মান্দালয় প্রদেশ হাই কোর্ট। প্রশাসন সূত্রে খবর, ২০২১ সালে সু কি-র বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনেন মাউং ওয়েইক নামের এক ব্যবসায়ী। সামরিক জুন্টার কাছে তিনি জানান, ২০১৮ ও ২০২০ সালে সু কি-র সঙ্গে চারবার দেখা হয় তাঁর। সেসময় কউন্সিলর সু কি-কে মোট ৫ লক্ষ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার দেন তিনি। তবে, টাকা লেনদেনের সময় সেখানে আর কেউ ছিল না বলেও জানান ওই ব্যবসায়ী।
বলে রাখা ভাল, এর আগে ১২টি মামলায় সু কি-কে দোষী শশব্যস্ত করে ২৩ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছিল। এদিকে, মায়ানমারের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বার্মিজ সেনার সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে মাউং ওয়েইক নামের ওই ব্যবসায়ীর। সেনাবাহিনীর একাধিক জেনারেল পদমর্যাদার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন রয়েছে তাঁর। ফলে এই মামলার নেপথ্যে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই সেনার নির্দেশে বন্দি মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি।