সন্দেহজনক ওষুধ পাওয়া গেল দিল্লির ফার্মহাউসে, সতীশের মৃত্যু ঘিরে রহস্য  

দিল্লি, ১১ই মার্চ – ৯ই মার্চ ভোররাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা তথা পরিচালক সতীশ কৌশিকের। হোলি খেলার পর বুধবার রাতেই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোররাতে অসুস্থ বোধ করেন সতীশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের তরফে জানানো হয়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে এই প্রবীণ অভিনেতার। তবে বিজওয়াসানের ফার্ম হাউস থেকে দিল্লি পুলিশ ‘সন্দেহজনক ওষুধের’ প্যাকেট পেয়েছে।  ফলে সতীশের মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে।

দিল্লির ফার্ম হাউসেই ৮ই মার্চ অর্থাৎ বুধবার রাতে ছিলেন প্রবীণ অভিনেতা সতীশ কৌশিক। সেখানেই ‘সন্দেহজনক ওষুধগুলি’র খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।    এই ওষুধগুলি কোন কাজে ব্যবহার করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যথাযথ তদন্তের পরই জানা যাবে সতীশ কৌশিকের হৃদরোগের সঙ্গে এই ওষুধের কোনও সম্বন্ধ রয়েছে কি না।
বিজওয়াসানের ফার্ম হাউসটি রয়েছে সতীশ কৌশিকের বন্ধু বিকাশ মালুর নামে। তদন্তে নেমে পুলিশ দেখেছে বিকাশ মালুর নামে পুরনো একটি ধর্ষণের মামলা রয়েছে। কবে এই মামলা দায়ের হয় পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। এই ওষুধ পাওয়ার পর তদন্তে আরও জোর দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। হোলির দিন যাঁরা ওই ফার্ম হাউসে আসেন তাঁদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। তবে পুলিশ আগেই জানিয়েছে, ময়না তদন্তে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তবে ভবিষ্যতে তদন্তের জন্য ভিসেরা নমুনা রেখে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হোলির দিন মুম্বইয়ে জাভেদ আখতার-শাবানা আজমির সঙ্গে তাঁদের বাড়িতে উৎসবে মাতেন অভিনেতা সতীশ কৌশিক। সেদিনই দিল্লিতে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে হোলি উদযাপন করতে আসেন। রাতে দিল্লির বিজয়ওয়াসন ফার্ম হাউসে ছিলেন তিনি। সেই রাতেই তিনি অসুস্থ বোধ করেন। তাঁর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে সতীশের ম্যানেজার সন্তোষ রাই জানিয়েছেন, রাত সাড় ১২ টা নাগাদ তাঁকে ফোন করে শারীরিক অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন প্রবীণ অভিনেতা। তারপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকলেও ফার্ম হাউস থেকে দিল্লি পুলিশ ‘সন্দেহজনক ওষুধ’ পাওয়ায় এই ওষুধের সঙ্গে সতীশের অসুস্থতার কোনও যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে ।