দিল্লি, ২৮ নভেম্বর– শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া যেন থামার নামই নেই। একই ধাঁচে হয়ে চলেছে একের পর এক খুন। উত্তরপ্রদেশ থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গ। এবার ফের এই দিল্লি। স্বামীর পরকীয়ার সন্দেহে তাঁকে খুন করে দেহ ২২ টুকরো করল স্ত্রী ও ছেলে। সোমবার অভিযুক্ত মহিলা ও তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধদমন শাখা। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে, মৃতের ছেলে দিল্লির পাণ্ডবনগর এলাকায় দেহর টুকরো ছড়াচ্ছে।
দিল্লির পাণ্ডবনগরের বাসিন্দা অঞ্জন দাস। স্ত্রী পুনম ও ছেলে দীপককে নিয়ে তাঁর সংসার ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, জুন মাসে পূর্ব দিল্লির পাণ্ডবনগর এলাকা থেকে কাটা দেহাংশ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু মৃতের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। সম্প্রতি শ্রদ্ধা ওয়ালকার খুনের কিনারা করে দিল্লি পুলিশ। গত মে মাসে একই কায়দায় শ্রদ্ধাকে খুন করে, তার দেহ ৩৫ টুকরো করে দিল্লিজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছিল তার প্রেমিক আফতাব। কয়েক সপ্তাহ আগে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করে খুনের কিনারা করেছিল পুলিশ। সেই একই কায়দায় পাণ্ডবনগর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেহাংশের রহস্যভেদ করতে উঠেপড়ে লাগে দিল্লি পুলিশ।
সোমবার মৃতের স্ত্রী ও ছেলেকে গ্রেফতারের পর জানা যায় স্ত্রী পুনমের সন্দেহ ছিল অঞ্জন বিবাহবর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সেই সন্দেহের বশে তাঁর খাবারের ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেয় পুনম ও দীপক। তারপর ঠান্ডা মাথায় ঘরের মধ্যে খুন করা হয় তাঁকে। এরপর সেই দেহ ২২ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দেয় তারা। পরে সময় সুযোগ বুঝে পাণ্ডবনগর চত্বর ও তার আশেপাশে দেহের টুকরো ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।