• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

দিল্লি, ২৯ মার্চ– ২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গড়মিল তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রাপকরা। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ আপাতত এই মামলায় সিবিআই তদন্ত স্থগিত

দিল্লি, ২৯ মার্চ– ২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে গড়মিল তদন্তের ভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই মামলার শুনানিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি প্রাপকরা। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। অর্থাৎ আপাতত এই মামলায় সিবিআই তদন্ত স্থগিত থাকবে।

২০২০ সালে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৫-২০ জনের নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ ছিল ৫ নম্বর, কিন্তু সেখানে ৬-এর বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে বরাদ্দ ১০ নম্বরের বদলে তাঁদের দেওয়া হয়েছে ১৫। প্রশিক্ষণে বরাদ্দ ১৫ নম্বর বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২৩! আরও অভিযোগ, এই নম্বর বিভাজন পুরোটাই করেছে পর্ষদের কনফিডেন্সশিয়াল বিভাগের অধীনে এস বসু রয় অ্যান্ড কোম্পানি।

ওই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, কীভাবে একটি বাইরের কোম্পানি পর্ষদের কনফিডেন্সশিয়াল বিভাগে কাজ করতে পারে? বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেছিলেন, এই মামলায় যদি উঠে আসে এই কারণে অনেকে চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তবে সেই সময় পর্ষদের অ্যাড হক কমিটিতে যাঁরা যাঁরা ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে জেরা করবে সিবিআই। প্রয়োজনে তাঁদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন শিক্ষা বিভাগে নিয়োগ নিয়ে অন্য একটি মামলারও শুনানি হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।