দিল্লি, ১৯ আগস্ট– সেই ২০০২ সালে নিয়ম কার্যকর হয়েছে প্রেসক্রিপশনে জেনেরিক নেম লেখার। কিন্তু তারপর দু’দশক পরেও ক’জন চিকিৎসক তা পালন করছেন তার হদিশ নেই। তবে এতে সাজার বিধান থাকলেও তা কার্যকর করাও অধরা। প্রায় বেশিরভাগ চিকিৎসক বড় বড় কোম্পানির বেশি দামের ওষুধ (ব্র্যান্ড নেম) প্রেসক্রিপশনে লিখছেন।
বেশ কিছু সময় ধরে সুপ্রিম কোর্টে এই মর্মে অভিযোগ করে মামলা হয়েছে। শুনানিতে শীর্ষ আদালতও একমত যে চিকিৎসায় এই অনাচার চলছে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তুলেছেন, কেন চলতে পারছে এই অনিয়ম? শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন, যে চিকিৎসকেরা নিয়ম ভাঙছেন তাঁদের কী সরকার সাজা দিচ্ছে? সব রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই ব্যাপারে রিপোর্ট তলব করেছেন প্রধান বিচারপতি।
প্রেসক্রিপশনে ওষুধের জেনেরিক ও ব্র্যান্ড নেম লেখা হলে রোগী ও পরিজনেরা তাদের আর্থিক সামর্থ মতো ওষুধ কিনতে পারেন। কিন্তু ব্র্যান্ড নেম লেখার অর্থ রোগীকে বিশেষ কোম্পানির ওষুধ কিনতে বাধ্য করা। তারফলে অনেক রোগীই ওষুধের বিপুল খরচ সামাল না দিতে পেরে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। অভিযোগ, নানা সুবিধার বিনিময়ে চিকিৎসকদের একাংশ ওষুধের ব্র্যান্ড নেম লিখে থাকেন।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া মামলায় আইনজীবী কিষানচাঁদ জৈন অভিযোগ করেন, বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্যান্ড নেম ও জেনেরিক নেমের মধ্যে ওষুধের দামে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ ফারাক হয়। চিকিৎসকেরা জেনেরিক নেম লিখলে রোগীদের বড় অংশের সুবিধা হয়।
প্রসঙ্গত, দ্য ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল (প্রফেশন্যাল কনডাক্ট, এটিকেট অ্যান্ড এথিক্স) রেগুলেশনস, ২০০২ অনুযায়ী চিকিৎসকেরা ওষুধের জেনেরিক নেম লিখতে বাধ্য। সতর্ক করার পরও তারা ব্র্যান্ড নেম লিখলে সরকার সর্বোচ্চ সাজা হিসাবে রেজিস্ট্রেশন সাময়িক সময়ের জন্য বাতিল করে রোগী দেখা বন্ধ করে দিতে পারে।
কিন্তু কিন্তু নজরদারির অভাবে এই ব্যাপারে যে কোনো ব্যবস্থায় নেওয়া হয়না তা মানছেন চিকিৎসা মহলের একাংশ।