দিল্লি,১০ ডিসেম্বর– নরেন্দ্র মোদি সরকার ইতিমধ্যে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইনে সংশোধনী পেশ করে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। এই সিদ্ধান্তে এই বয়েস ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সেই মতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়, মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ছেলেদের মতোই ২১ বছর করা হবে।
কিন্তু গোল বাঁধছে এই আইন হিন্দু ধর্মের ক্ষেত্রে কার্যকরী হলেও মুসলিম ধর্মের ক্ষেত্রে কি হবে ? মুসলিম ধর্মে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স এখনো ১৫ বছরই আছে। সেক্ষেত্রে মুসলিম মেয়েদেরও বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দাখিল করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
জাতীয় মহিলা কমিশনের তরফ থেকে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বিচারপতি পিএস নরসিহং-এর বেঞ্চে আপিল করেছেন সিনিয়র অ্য়াডভোকেট গীতা লুথরা, আইনজীবী শিবানী সুথরা লোহিয়া ও আইনজীবী অস্মিতা নারুলা।
আবেদনকারীদের বক্তব্য, ১৫ বছর বয়স হলেই কোনও মুসলিম মেয়ে তাঁর পছন্দের সঙ্গীকে বিয়ে করতে পারে। বা বিয়ের চুক্তিতে আবদ্ধ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বাল্য বিবাহ নিষিদ্ধকরণ আইনের সঙ্গে হিন্দু, মুসলিম ও অন্যান্য ধর্মের যে সব বিবাহ আইন রয়েছে সেখানে ফারাক হয়ে যাচ্ছে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার দেশের সব মেয়েদেরই বিয়ের ন্যুনতম বয়স ১৮ বছর থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার আইনে সংশোধনী আনলে মুসলিম সাংসদরা তাতে আপত্তি করেছিলেন। ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন অব মুসলিম লিগের পক্ষ থেকে রাজ্যসভায় মুলতুবি প্রস্তাবও আনা হয়েছিল।