দিল্লি, ৩০ অক্টোবর – সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আবেদন। সোমবার শীর্ষ আদালত জানায়, আপ নেতার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আপাতত প্রমাণিত। শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং এসভিএন ভাট্টি সোমবার আপ নেতার জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলে, দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে ৩৩৮ কোটি টাকা লেনদেনের যে অভিযোগ ইডি করেছে প্রাথমিক নথিপত্রে তার প্রমাণ মিলেছে। তাই জামিনের আবেদন খারিজ করা হল। আগামী ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ধীর গতিতে বিচার চললে আবার জামিনের আবেদন করতে পারেন সিসোদিয়া দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সিসোদিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, আবগারি কেলেঙ্কারি থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন তিনি।
দিল্লির আবগারি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত দিল্লির প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে তিহার জেলে বন্দি। ওই মামলায় আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে ইডি। কয়েকজন আবগারি ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করেছে ইডি ও সিবিআই। মণীশকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পরে বেআইনিভাবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে ইডিও। কিন্তু আবার খারিজ হয়ে গেল দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার জামিনের আর্জি। বারবার জামিনের আবেদন জানিয়েও কোনও ফল হয়নি। আপাতত জেল হেফাজতে রয়েছেন তিনি। জামিনের আর্জি জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিসোদিয়া। সোমবার শীর্ষ আদালতে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে। তবে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সিবিআই-কে। শীর্ষ আদালত নিম্ন আদালতকে ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে শুনানি শেষ করতে বলেছে। বিচার প্রক্রিয়ায় ঢিলেমি দেখলে তিন মাস পর মণীশ ফের শীর্ষ আদালতের কাছে জামিনের আবেদন করতে পারবেন। তখন আদালত জামিনের আবেদন মঞ্জুর করতে পারে।
পুজোর আগে এই মামলায় মনীশের জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণে। সুপ্রিম কোর্ট ইডির আইনজীবীকে বলেছিল, যে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে আটকে রাখা হয়েছে আদালতে তা পাঁচ মিনিটে খারিজ হয়ে যাবে। জবাবে ইডির তরফে আদালতকে বলা হয় তারা হলফনামা দিয়ে নিজেদের বক্তব্য জানাতে আগ্রহী। সোমবার ইডির হলফনামা দেখে শীর্ষ আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে। তবে সুপ্রিম কোর্ট নিম্ন আদালতের শুনানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে।
সিসোদিয়ার জামিন খারিজের পর বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই রায় থেকে পরিষ্কার যে আপ নেতারা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তাঁর মতে, অরবিন্দ কেজরিওয়াল-সহ অন্যান্য আপ নেতারা খুব তাড়াতাড়ি গ্রেপ্তার হবেন। যদিও এই ঘটনা নিয়ে এখনও আপের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মুখ খোলেনি ইন্ডিয়া জোটও.