• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দূষণের সমস্যা মেনে নীতির প্রশ্ন বলে দূষণ মামলা শুনল না সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি,২০ জানুয়ারি– দূষণ নিয়ে করা মামলা শুনলেই না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, বড় শহরগুলিতে পরিবার পিছু একটির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না, এই মর্মে নির্দেশ জারি করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুক সর্বোচ্চ আদালত। মামলাকারীর বক্তব্য, গাড়ির ধোঁয়া না কমালে দিল্লির মতো শহরগুলি আর বাসযোগ্য থাকবে না। প্রধান বিচারপতি দূষণের সমস্যা মেনে নিয়েও বলেন, এটা নীতির

দিল্লি,২০ জানুয়ারি– দূষণ নিয়ে করা মামলা শুনলেই না সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় দাবি করা হয়েছিল, বড় শহরগুলিতে পরিবার পিছু একটির বেশি গাড়ি রাখা যাবে না, এই মর্মে নির্দেশ জারি করতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বলুক সর্বোচ্চ আদালত। মামলাকারীর বক্তব্য, গাড়ির ধোঁয়া না কমালে দিল্লির মতো শহরগুলি আর বাসযোগ্য থাকবে না। প্রধান বিচারপতি দূষণের সমস্যা মেনে নিয়েও বলেন, এটা নীতির প্রশ্ন। নীতিগত বিষয়ে আদালত সরকারকে নির্দেশ দিতে পারে না।

দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা সহ দেশের বড় শহরগুলির বায়ু দূষণের পরিমাণ সহনশীলতার মাত্রা ছাড়িয়েছে অনেক আগেই। বিশ্বের একশোটি দূষিত শহরের তালিকায় আছে দিল্লি কলকাতা সহ ভারতের দশটি শহর। গাড়ির বিষাক্ত ধোঁয়াই দূষণের প্রধান কারণ উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে।

শুক্রবার সেই মামলা ফিরিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।

যদিও পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অনেকেই মনে করছেন, আদালত বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে বিচার করেনি। দেশের বিভিন্ন হাইকোর্টই বড় শহরগুলিতে পনেরো বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বাজি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞাও আদালত থেকেই জারি হয়। সরকার আদালতের রায় কার্যকর করেছে মাত্র।

দিল্লিতে ইদানীং দূষণের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে শহরের স্কুল দীর্ঘ সময় বন্ধ রাখতে হয়। পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতাও নিরাপদ নয়। গাড়ির চাপে বাড়ছে যানজট। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দূষণ।