কলকাতা, ৮ এপ্রিল – কুড়মিদের রেল অবরোধ নিয়ে অশান্তি অবরোধ যে তিমিরে সেই তিমিরেই রয়ে গেল। টানা অবরোধে যাত্রীদের দুভোগ চরমে উঠেছে। এদিকে অবরোধের জেরে রেলের ক্ষতির পরিমানও আকাশ ছুঁয়েছে ।
দক্ষিণ পূর্ব রেল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে ২০০-র বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। শুক্রবার ৭১টি দূরপাল্লা ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন বাতিল হয়েছে। শনিবার ৭২টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। খড়্গপুর ডিভিশনের হাওড়া, শালিমার বা খড়্গপুর থেকে টাটানগর, বিলাসপুর, মুম্বইগামী সরাসরি ট্রেন বাতিল হয়। কিছু ট্রেন ঘুরপথে চান্ডিল হয়ে চলাচল করছিল। এই রুটেও কোটশিলায় অবরোধের ডাক দিয়েছে কুড়মিরা। ফলে, টাটানগর, বিলাসপুর, মুম্বই রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ।
জনজাতি তালিকাভুক্তির দাবিতে গত বুধবার থেকে খড়্গপুর-এর খেমাশুলিতে ‘রেল টেকা, ডহর ছেঁকা’ শুরু করেছে আদিবাসী কুড়মি সমাজ। এর জেরে কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ। পাশাপাশি কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের ডাকে ‘ঘাঘর ঘেরা’ কর্মসূচিতে গত মঙ্গলবার থেকে খেমাশুলিতেই অবরোধ করা হয় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। রেল অবরোধ চলছে আদ্রা-চান্ডিল শাখার পুরুলিয়ার কুস্তাউর স্টেশনেও।
গত সেপ্টেম্বরে টানা ৬ দিন খেমাশুলিতেই চলেছিল কুড়মিদের জাতীয় সড়ক ও রেল অবরোধ। তখন রেলের ৪০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছিল। এ বার এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি টাকার লোকসান হয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষের দাবি। যদিও এখনও পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ও আধিকারিকদের সঙ্গে কুড়মিদের আলোচনায় ইতিবাচক নয় । আদিবাসী কুড়মি সমাজের মূল নেতা অজিত মাহাতো এ দিনও দাবি করেন, ‘‘সরকার হাত গুটিয়ে বসে রয়েছে। আমরাও দাবি থেকে আমরা সরছি না।’’ কুড়মি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাতোরও হুঁশিয়ারি, “দাবি পূরণ না হলে জঙ্গলমহল স্তব্ধ করা হবে।”