কলকাতা, ১৭ আগস্ট – যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকেলে এবিভিপির অবস্থান বিক্ষোভে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।স্থানীয় সূত্রের খবর, সভা শেষে শুভেন্দু বেরিয়ে যেতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন নম্বর গেটের সামনে রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্টের সঙ্গে এবিভিপির সংঘর্ষ বেঁধে যায় । ঘটনায় দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন জখম হন। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে সরব দু’পক্ষই।
এবিভিপির অভিযোগ, এদিন শুভেন্দুকে দেখে কালো পতাকা দেখান রেভিলিউশন স্টুডেন্টস ফ্রন্ট বা আরএসএফ। যার জেরে বচসা থেকে মারধরে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। পাল্টা হিসেবে আরএসএফ নেতৃত্বর অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবেই এদিন কর্মসূচি শেষে হামলা চালিয়েছে এবিভিপি। ঘটনায় দু’পক্ষের তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে।
বস্তুত, ছাত্র বিক্ষোভের জেরে এদিন সকাল থেকেই দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকালে ঢাকুরিয়া থেকে যাদবপুর এইট বি স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে এসএফআই। যাদবপুরের মেন রোডে পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করলে রীতিমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি বেঁধে যায়। ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায় এসএফআই সমর্থকরা। অন্যদিকে তিন নম্বর গেটের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছিল এবিভিপি। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুকে দেখে আরএসএফ এর তরফে কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ। তারপরই গোলমালে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
এদিকে ফের যাদবপুরের ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা সামনে আসতেই পড়ুয়াদের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ওয়াকিবহাল মহল। ওই মহলের মতে, ঠিক ভুল এর প্রশ্ন নয়। যে ব়্যাগিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলের কথা বলা হচ্ছে সেখান থেকেই যদি পড়ুয়ারা পরস্পরের দিকে তেড়ে যায়, হামলা চালায় তাহলে আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়েই তো প্রশ্ন উঠবে। অবিলম্বে পড়ুয়াদের আচরন বদলানো উচিত বলেও মত সংশ্লিষ্ট মহলের।