• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

রাজীব সিনহাকে কড়া বার্তা হাইকোর্টের, রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার পরামর্শ  

কলকাতা , ২১ জুন – পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা ওঠাপড়ার মধ্যেই ফের  রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বার্তা দিল হাইকোর্ট । বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানাল, রাজীব সিনহা নির্বাচন সামাল দিতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে যান। প্রয়োজনে রাজ্যপাল নতুন কাউকে দায়িত্ব দেবেন। অর্থাৎ রাজীব সিনহাকে ইস্তফা দেওয়ার বার্তা দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। গত ১৩

কলকাতা , ২১ জুন – পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে নানা ওঠাপড়ার মধ্যেই ফের  রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে বার্তা দিল হাইকোর্ট । বুধবার প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানাল, রাজীব সিনহা নির্বাচন সামাল দিতে না পারলে রাজ্যপালের কাছে যান। প্রয়োজনে রাজ্যপাল নতুন কাউকে দায়িত্ব দেবেন। অর্থাৎ রাজীব সিনহাকে ইস্তফা দেওয়ার বার্তা দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম।

গত ১৩ জুন কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলে নির্বাচন কমিশনকে। ১৫ জুনের নির্দেশে  গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করার পাশাপাশি বাহিনী আনতে কেন্দ্রের কাছে আবেদনের জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেয় আদালত। সেই সময়সীমার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় কমিশন। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে ২২ জেলার জন্য এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠা নির্বাচন কমিশন। তখনই আপত্তি তোলে বিরোধীরা।
 কেন্দ্রীয় বাহিনী কম আনা হচ্ছে বলে অভিযোগের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়সীমা মানা হয়নি বলে আদালত অবমাননার অভিযোগ ওঠে । সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই  বুধবার প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানম বলেন, ‘‘বলতে বাধ্য হচ্ছি এত কিছুর পরেও কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। হাইকোর্টের অর্ডার পালন করুন।’’ তিনি বলেন, ‘‘কমিশনার যদি না পারেন তা হলে রাজ্যপালের কাছে যান। তিনি অন্য কাউকে নিয়ে আসবেন। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ পদ। এখান থেকে এগুলো আশা করা যায় না। এত ঘটনার পরে কমিশনারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করতে হলে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’’
আগে হাই কোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট গোটা রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বললেও কত বাহিনী তা আলাদা করে উল্লেখ করে দেয়নি। কমিশন রাজ্যের ২২টি জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন জানায় মঙ্গলবার। বিস্তীর্ণ এলাকায় নির্বাচন সামলাতে এত কম বাহিনী আনা নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য ছিল নাম কা ওয়াস্তে আদালতের নির্দেশ মানছে কমিশন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার আদালত নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কত বাহিনী আনতে হবে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি আদালতকে জানিয়েছিল, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেছেন, এ বারের পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তার জন্যও ওই সংখ্যক বা তার বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
বিরোধীদের দাবি , এমন কথা বলার অর্থ কমিশনারকে ভর্ৎসনা করা। প্রসঙ্গত, রাজ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। সেক্ষেত্রে কমিশনারকে রাজ্যপালের কাছে যেতে বলাকে আদালতের কড়া বার্তা বলে মনে করা হচ্ছে।