এ বার থেকে তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরে যাওয়ার সময় একটা লাঠি সঙ্গে রাখতেই হবে পুণ্যার্থীদের। গত সপ্তাহে চিতাবাঘের হানায় ৬ বছরের এক শিশুকন্যার মৃত্যুর পর এই নিয়ম চালু করল তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি)। জঙ্গলের পথে পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত।
পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। হেঁটে মন্দিরে যাওয়ার সময় অন্তত ১০০ জনকে এক সঙ্গে পথ চলতে হবে। সঙ্গে থাকবে নিরাপত্তারক্ষী। টিটিডির প্রধান বি করুণাকর রেড্ডি জানিয়েছেন, প্রত্যেক পুণ্যার্থীকে একটি করে লাঠি দেওয়া হবে। সেই লাঠি দেবেন কর্তৃপক্ষই। বন্যজন্তুর হানা ঠেকাতেই এই ব্যবস্থা। পুণ্যার্থী এবং রাস্তার দোকানগুলিকে খাবার ছড়াতেও বারণ করা হয়েছে। পথে হনুমানদের খাবার দেওয়াও নিষিদ্ধ।
মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় বেড়া দেওয়ারও চিন্তাভাবনা করছেন কর্তৃপক্ষ। তিরুমালা মন্দির যেহেতু সংরক্ষিত বনভূমিতে রয়েছে, তাই রাস্তায় বেড়া দেওয়ার পরিকল্পনা কেন্দ্রীয় পরিবেশ এবং বন মন্ত্রককে পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কিছু পদক্ষেপে অখুশি পুণ্যার্থীরা। রাত ২টোর পর কোনও শিশুকে পায়ে হেঁটে মন্দিরে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এর ফলে যে সব পুণ্যার্থীদের সঙ্গে শিশু রয়েছেন, তাঁরা বিপাকে। স্বাতী কিরণ নামে এক পুণ্যার্থী বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে ৬ বছরের ছেলে রয়েছে। সে কারণে রাত ২টো থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত আমায় অপেক্ষা করতে হয়েছে।’’
গত শুক্রবার রাতে তিরুপতি মন্দিরে যাওয়ার সময় ৬ বছরের লক্ষিতার উপর হামলা করে একটি চিতাবাঘ। মৃত্যু হয় তার। বাবা-মায়ের কাছে কিছু কিনে দেওয়ার বায়না করেছিল সে। তারা রাজি না হলে অন্য পথে হাঁটছিল সে। পরে ঝোঁপ থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। এর পরেই সতর্ক হয় কর্তৃপক্ষ।