জলপাইগুড়ি , ২৩ ডিসেম্বর — সারা বিষয়ে ইতিমধ্যেই ভয়ঙ্কর সাড়া ফেলেছে করোনার ওমিক্রন প্রজাতির উপরূপ বিএফ.৭। চিনে ভয়ঙ্কর তাণ্ডব শুরু করেছে এই বিএফ.৭ । আবার নতুন করে করোনার আগমনে ভয়ে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক নতুন করে কোভিড প্রোটোকল জারি করেছে। সকল দেশবাসীকে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। আবার মাস্ক পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাংলায় এখনই কড়াকড়ি বা বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে না। তবে সবাইকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরেরদিনই করোনা নিয়ে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর উল্টো পথে হাঁটলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ।
ভারতে এখনো সেরকমভাবে কোনো বিধিনিষেধ নেই। যাতে আমাদের ভারতকে এই মহামারী থেকে বাঁচানো যায় তার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনিও সকলকে সেকি বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু এবার অন্য সুর শোনা গেলো রাজ্যেরই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র গলায়। শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির গজলডোবা পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শনে যান বাবুল সুপ্রিয়। সেখানেই জানান, আগামী দু’দিনের মধ্যে রাজ্যের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র ও পর্যটকদের থাকার জায়গাগুলোর জন্য বিশেষ কোভিড গাইডলাইন প্রকাশ করবে রাজ্য পর্যটন মন্ত্রক। করোনার চতুর্থ ঢেউ থেকে পর্যটন শিল্পকে যতটা সম্ভব বাঁচানোর চেষ্টা করা দরকার বলেও জানান মন্ত্রী।
ঘটনা হল, কোভিডের ধাক্কায় যে সমস্ত ক্ষেত্র সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার অন্যতম পর্যটন শিল্প। বিশ্বজুড়েই যে সকল শিল্প ও ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল তাদের মধ্যে পর্যটন শিল্প সবার শীর্ষে। একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিলো পর্যটন শিল্প। টানা দুবছর পর একটু ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলো তার মাঝেই আবার নতুন করে বি এফ.৭ এর আতঙ্ক।
তবে মুখ্যমন্ত্রী যখন এখনই কড়াকড়ির পক্ষপাতী নন তখন বাবুল সুপ্রিয়র মুখে এইরূপ বার্তা শুনে মানুষ বিতর্কের ইঙ্গিত খুঁজে পাচ্ছেন।