• facebook
  • twitter
Thursday, 21 November, 2024

এসএসসি : নিয়োগ খারিজের নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ 

কলকাতা, ১ মার্চ — ও এম আর শিট বিকৃত করে চাকুরীপ্রাপকদের নিয়োগ খারিজের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগ খারিজ হওয়া ৯৫২ জন শিক্ষক মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। বিচারপতি অভিজিৎ

কলকাতা, ১ মার্চ — ও এম আর শিট বিকৃত করে চাকুরীপ্রাপকদের নিয়োগ খারিজের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রেখে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। ৮০৫ জনের চাকরি বাতিল নিয়ে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।

নিয়োগ খারিজ হওয়া ৯৫২ জন শিক্ষক মামলায় যুক্ত হতে চেয়েছিলেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সেই আর্জি খারিজ করে দেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চ যান ৯৫২ জন। ডিভিশন বেঞ্চের রায়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশে ৮০৫ জনের মধ্যে ৬১৮ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছিল এসএসসি। ওই নির্দেশ বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ।

ইতিমধ্যেই ৮০৫ জনের উত্তরপত্রে দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। তার পর ৬১৮ জনের নাম প্রকাশ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এসএসসির ওয়েবসাইটে ওই অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নামপ্রকাশও করা হয়েছে। বুধবার এই মামলারই রায় ঘোষণা করলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। কারণ কমিশনই বলেছিল, এই ৮০৫ জন উত্তরপত্র ওএমআর শিট খতিয়ে দেখে তারা বুঝেছে, তা বিকৃত করা হয়েছে। এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা।