• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

শেষে আদানিতেই ভরসা দেউলিয়া শ্রীলঙ্কার

কলম্বো, ২৩ ফেব্রুয়ারি– শুধু ভারতে নয় গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যে প্রবল বিতর্কের মুখে আদানি গোষ্ঠী। হিডেনবার্গ রিপোর্টার পর ডুবতে থাকা আদানির সঙ্গ ত্যাগ করেছে একের পর এক কোম্পানি। কিন্তু সেই ডুবন্ত আদানিতেই সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভরসা দেখাল দেওলিয়া শ্রীলংকা। গৌতম আদানির গোষ্ঠীকেই বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের বরাত দিল শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার পরিচালিত ‘শ্রীলঙ্কা বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট’ বৃহস্পতিবার

কলম্বো, ২৩ ফেব্রুয়ারি– শুধু ভারতে নয় গোটা বিশ্বে ইতিমধ্যে প্রবল বিতর্কের মুখে আদানি গোষ্ঠী। হিডেনবার্গ রিপোর্টার পর ডুবতে থাকা আদানির সঙ্গ ত্যাগ করেছে একের পর এক কোম্পানি। কিন্তু সেই ডুবন্ত আদানিতেই সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ভরসা দেখাল দেওলিয়া শ্রীলংকা। গৌতম আদানির গোষ্ঠীকেই বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রের বরাত দিল শ্রীলঙ্কা। প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার পরিচালিত ‘শ্রীলঙ্কা বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট’ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সে দেশের উত্তরাংশের দু’টি বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের ৪৪ কোটি ২০ লক্ষ ডলারের (প্রায় ৩,৬৫৬ কোটি টাকা) বরাত দেওয়া হচ্ছে আদানি গ্রিন এনার্জিকে।

‘শ্রীলঙ্কা বোর্ড অফ ইনভেস্টমেন্ট’-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘২০২৫ সালের মধ্যে আদানি গ্রিন এনার্জি জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।’’ প্রসঙ্গত, এর আগে শ্রীলঙ্কার রাজধানী কলম্বোর একটি ৭০ কোটি ডলারের (প্রায় ৫,৮০০ কোটি টাকা) গভীর সমুদ্রবন্দরের টার্মিনাল গড়ার বরাত পেয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। এ বার অর্থসঙ্কটে দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রকল্পে লগ্নি করবে তারা।

উত্তর শ্রীলঙ্কার মান্নার এলাকায় বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের বরাত আদানিকে দেওয়া নিয়ে পূর্বতন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের আমল থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছিল। গত বছর জুনে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের সংশ্লিষ্ট কমিটির সামনে সিলোন ইলেক্ট্রিসিটি বোর্ডের চেয়ারম্যান এম এম সি ফার্দিনান্দো জানান, ২০২১ সালের ২৪ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে বলেন, ‘‘মান্নারে যে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রটি তৈরি করা হবে, তার বরাত আদানি গোষ্ঠীকে দেওয়া হোক। কারণ, এমনটাই চাইছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।’’
ঘটনার জেরে শ্রীলঙ্কা রাজনীতিতে সে সময় প্রবল বিতর্ক তৈরি হয়। কলম্বোর রাস্তায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়। ঘটনার জেরে ইস্তফা দিতে হয় ফার্দিনান্দোকে। অন্য দিকে, ঘটনার রেশ পড়ে ভারতীয় রাজনীতিতেও। প্রধানমন্ত্রী কূটনীতির প্রথা ভেঙে বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে নির্দিষ্ট একটি শিল্পগোষ্ঠীকে বরাত পাইয়ে দেওয়ার উমেদারি করেছেন কি না, তা নিয়ে তাঁর বিবৃতি দাবি করেছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলি।