কলকাতা , ৩ জুলাই – পঞ্চায়েত নির্বাচনে শারীরিকভাবে অক্ষমদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা যাবে না। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এমনই নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত। পঞ্চায়েত ভোটের পোলিং অফিসার হওয়ার ডাক পেয়েছিলেন যেসব সরকারি শিক্ষকরা, তাঁরা অভিযোগ করেছিলেন, এর আগেও লোকসভা, বিধানসভা, পঞ্চায়েত ভোটে চিঠি পাঠানো হয় বিশেষ ভাবে সক্ষম সরকারি শিক্ষকদের। বিশেষভাবে সোলস হাওয়া সত্ত্বেও তাঁদের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগ করেন রাজ্যের সরকারি শিক্ষকদের একাংশ। সোমবার কলকাতা হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, যাঁরা শারীরিক ভাবে অক্ষম, তাঁদের ভোটের পোলিং অফিসার হিসাবে ব্যবহার করতে পারবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জনস্বার্থ মামলা করেছিল রাজ্যের শিক্ষানুরাগী যৌথ মঞ্চ। সোমবার সেই মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। বেঞ্চ কমিশনকে স্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে বলেছে, ‘‘এই ভোটের কাজে প্রতিবন্ধীদের পোলিং অফিসার হিসাবে নিয়োগ করা উচিত নয় কমিশনের।’’
ভোটের কাজে বিশেষভাবে সক্ষম পোলিং অফিসারদের ব্যবহার করা যাবেনা , নির্দেশ হাইকোর্টের
রাজ্যে বড় কোন অঘটন না ঘটলে পঞ্চায়েত ভোট হতে চলেছে আগামী শনিবার । তবে এখনও পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে নানা ইস্যুতে তোলপাড় রাজ্য। হিংসা, হানাহানি, রাজ্যপালের কড়া বার্তার মাঝেই ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা পোলিং অফিসারদের নিয়েও ধন্দ কাটছে না। প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায় , পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে সরকারি কর্মীর অভাব থাকায় নির্বাচনের কাজে বিশেষভাবে সক্ষম শিক্ষকদেরও ডাকা হয়েছে। ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষকদের পঞ্চায়েত ভোটে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণের চিঠি পাঠায় নির্বাচন কমিশন। এর বিরুদ্ধে পাল্টা চিঠি দিয়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন তাঁরা। এর আগেও পঞ্চায়েত ভোটে শারীরিক প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়ে পোলিং অফিসারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাওয়া হয়। কিন্তু সরকারি শিক্ষকদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। সোমবার আদালতের নির্দেশে সেই সমস্যা থেকে অব্যাহতি মিললেও, আদালতের নির্দেশে নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। পঞ্চায়েত ভোটের চার দিন আগে যদি শারীরিক ভাবে অক্ষম পোলিং অফিসারদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, তবে তাঁদের বদলে বাড়তি অফিসার ওই দায়িত্বে নিযুক্ত করতে হবে. সে ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।