• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

জামতাড়া গ্যাং-এর প্রতারণা রুখতে বিশেষ অভিযান হরিয়ানা পুলিশের

চন্ডিগড় , ২৯ এপ্রিল –   এক লহমায়  ফাঁকা হয়ে যেতে পারে  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।  সারা জীবনের সঞ্চয় কয়েক মিনিটে সাফ করে দিতে জুড়ি নেই জামতাড়া গ্যাং-এর । সাইবার অপরাধ রুখতে এবার জোরদার অভিযান শুরু করল হরিয়ানা পুলিশ। ‘জামতাড়া গ্যাং’-এর প্রতারণায় ব্যবহৃত ২ লক্ষ মোবাইল নম্বর ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে । অপরাধে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার একশোরও বেশি।   হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর,  হরিয়ানার

চন্ডিগড় , ২৯ এপ্রিল –   এক লহমায়  ফাঁকা হয়ে যেতে পারে  ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।  সারা জীবনের সঞ্চয় কয়েক মিনিটে সাফ করে দিতে জুড়ি নেই জামতাড়া গ্যাং-এর । সাইবার অপরাধ রুখতে এবার জোরদার অভিযান শুরু করল হরিয়ানা পুলিশ। ‘জামতাড়া গ্যাং’-এর প্রতারণায় ব্যবহৃত ২ লক্ষ মোবাইল নম্বর ‘ব্লক’ করে দেওয়া হয়েছে । অপরাধে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার একশোরও বেশি।  
হরিয়ানা পুলিশ সূত্রে খবর,  হরিয়ানার মেওয়াট  এলাকায় এই  চক্রের হদিশ মিলেছে। জানানো হয়েছে, জনপ্রিয় অ্যাপের জন্য ‘কাস্টমার কেয়ার সাপোর্ট সার্ভিস’ দেওয়ার নামে , কখনো গ্রাহকের কাছে ‘ব্যাঙ্ককর্মী’ হিসাবে পরিচয় দিয়ে কেওয়াইসি আপডেট করা হয়নি বলে অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দিয়ে ‘অপারেশন’ চালাত এই সাইবার অপরাধীরা।

 
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরে দিল্লি পুলিশও ধারাবাহিক ভাবে জামতাড়া গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। সাইবার প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগে দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ড থেকে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। সেই সূত্রেই অভিযান শুরু করেছে হরিয়ানা পুলিশ। , ৬ জন পুলিশ সুপার, ১৪ জন ডিএসপির নেতৃত্বে মোট ১০২টি টিম  জামাতাড়া চক্রের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।

সাধারণ মানুষকে কেওয়াইসি আপডেট করার নাম করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছে এই জামতাড়া গ্যাং। এই গ্যাংয়ে ঝাড়খন্ড, দিল্লি, রাজস্থানের লোক জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি সিআইডির। এর পিছনে আরও বড় মাথা জড়িত কিনা, তার খোঁজ করছে সিআইডি। ঝাড়খন্ড থেকে গ্যাংয়ের মাথা মেহেতাবকেও গ্রেফতার করা হয়। তার আগে দিল্লি থেকে অতুল ও আকাশকে গ্রেফতার করে সিআইডি। 

গ্রাহকদের অভিযোগ , ইন্টারনেট থেকে ব্যাংকের কাস্টমার কেয়ার নম্বর জোগাড় করে ফোন করা হয় ব্যাংক কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে। গ্রাহক মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অ্যাপের অসুবিধার কথা জানালে তাঁকে একটি সটওয়্যারের লিংক পাঠিয়ে ডাউনলোড করতে বলা হয়। অভিযোগকারী ডাউনলোড করলে সেটার ব্যবহারে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ ব্যবহার করে ওই ব্যাংক কর্মী। এরপরেই জানতে পারেন তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে ২ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গেছে।