ভারত:- ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জাভি-ইনিয়েস্তারা। এবার চ্যাম্পিয়ন হল মহিলা দল। এই প্রথমবার মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ জয় করল স্পেন। ফাইনালে স্প্যানিশ মহিলা ব্রিগেড ইংল্যান্ডকে। মহিলা ফুটবলে নতুন চ্যাম্পিয়ন পেল বিশ্ব। সিডনিতে ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে মেয়েদের ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথায় তুলল স্পেনের মহিলা বাহিনি। ২০১০ সালে স্পেনের পুরুষ দলও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে ১-০ গোলে হারিয়ে। ২৯ মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ওলগা কারমোনা। এরপরও ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছিল স্প্যানিশরা। ইংল্যান্ডের তেকাঠির নীচে পারফর্ম করেন গোলরক্ষক ম্যারি ইয়ার্পস। না হলে স্পেনের পক্ষে স্কোর লাইন আরও বেশি হতে পারত। এরপর একবার পেনাল্টি পেয়েও ব্যবধানটাকে দ্বিগুণ করতে পারেনি স্পেন। হেনি হেরমোসোর দুর্বল শট ধরে ফেলেন ইংলিশ গোলরক্ষক মেরি ইয়ার্পস। ব্রিটিশ গোলরক্ষকই পেলেন সোনার গ্লাভস। ম্যাচে প্রায় ১৫ মিনিটের বেশি অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। সমতা ফেরানোর মরিয়া চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। জর্জ ভিলদার দল মাঠের বাইরে একাধিক সমস্যার মুখে পড়লেও, শেষপর্যন্ত জয়ের হাসিটা তারাই হাসেন। সোনার বল পেলেন স্পেনের এইতানা বোনমাট। যুক্তরাষ্ট্র, নরওয়ে, জার্মানি ও জাপানের পর পঞ্চম দল হিসেবে বিশ্বকাপ জিতল স্পেন।এবার রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল ইংল্যান্ডকে।
২০০৮ থেকে ২০১২ সালে এর আগে আমরা দেখেছি স্পেনের তিকিতাকা ফুটবল। সেই ফুটবলকে আবারও যেন ফিরিয়ে আনলেন এবারের মহিলা দলের কোচ। ২০১৫ সালে স্পেনের মহিলা দল গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। আর ২০২৩ সালে তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল। স্প্যানিশ মহিলা ব্রিগেড যে ধারাবাহিকভাবে ফুটবল উন্নতি করেছে, সেটি বোঝা গিয়েছে। তবে স্পেনের এই বিশ্বকাপ জয়ের পথ মসৃণ ছিল না। অনেক সমস্যা ছিল। কোচের সঙ্গে এখনও ফুটবলারদের সম্পর্ক ভাল নয়। যে কোচের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্বকাপেই খেলেননি প্রায় ১২ জন ফুটবলার, তাঁরাই সব প্রতিকূলতা জয় করে বিশ্বকাপ হাতে তুলে নিলেন। মহিলা বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে না পারলেও ভালো খেলে তৃতীয় স্থানে শেষ করল করেছে সুইডেন। অজিদের বিরুদ্ধে শনিবার তৃতীয় স্থান নির্নায়ক ম্যাচে ২-০ গোলে জিতল সুইডেন।