• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

বিহারের ১১০ অনাথ শিশুর অভিভাবক সোনু সুদ, এবার স্কুল গড়ার সংকল্প অভিনেতার

মুম্বই, ৩০মে — সোনু সুদ নামটি উঠলেই এখন তার অভিনয় থেকে বেশি তার সেবামূলক কাজের কথা ভেসে ওঠে। করোনা কালে তখন ভগবানের মতো গরীব মানুষের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ ভগবানই বটে! লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী মানুষকে শুধু ঘরে ফেরানোর দায়িত্বই নয় তার সঙ্গে যার যখন যে প্রয়োজন হয়েছে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি, বাড়িয়েছিলেন আর্থিক সাহায্য়ের

মুম্বই, ৩০মে — সোনু সুদ নামটি উঠলেই এখন তার অভিনয় থেকে বেশি তার সেবামূলক কাজের কথা ভেসে ওঠে। করোনা কালে তখন ভগবানের মতো গরীব মানুষের ‘মসিহা’ হয়ে উঠেছিলেন বলিউড অভিনেতা সোনু সুদ ভগবানই বটে! লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী মানুষকে শুধু ঘরে ফেরানোর দায়িত্বই নয় তার সঙ্গে যার যখন যে প্রয়োজন হয়েছে তার পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি, বাড়িয়েছিলেন আর্থিক সাহায্য়ের হাতও। আর এরপরই রাতারাতি গরীবের ভগবান হয়ে উঠেছিলেন সোনু। পাশাপাশি দুস্থ শিশুদের পড়াশোনার দায়িত্বও নিয়েছিলেন। এবার বিহারে স্কুল গড়ার কাজে নেমেছেন সোনু। ১১০ জন অনাথ শিশুর মুখে অন্ন তুলে দেওয়ার সংকল্প করেছেন তিনি।

শুধু বলিউডেই নয়, কাজ করেছেন দক্ষিণী ছবিতেও। অতিমারীর সময় নিজের সবটুকু সঞ্চয় দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন অসহায় মানুষের। দুস্থ শিশুদের পড়াশোনার দায়ভারও কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন সোনু। এবার তাঁদের জন্য আস্ত স্কুল গড়ার কাজে হাত লাগালেন তিনি। সোনু এখন বিহারের ভবিষ্যত গড়ার কারিগর। বিগত কয়েক বছরে অভিনেতা শিশুদের পড়াশোনার জন্য যা করেছেন, সেই অবদানের কথা মাথায় রেখেই বিহারের কাটিহারে সোনুর নামে তৈরি হয়েছে একটি স্কুল। বীরেন্দ্র কুমার মাহাতো নামে এক ইঞ্জিনিয়ারের উদ্যোগেই গড়ে উঠেছে এই স্কুল। মূলত অনাথ শিশুদের জন্য়ই তিনি এই স্কুলটি তৈরি করেছেন। চাকরি ছেড়ে এই অনাথ শিশুদের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছেন বীরেন্দ্র।

আর এই কথা জানতে পেরেই চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বীরেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করেন সোনু। তাঁর সঙ্গে কথা বলে স্কুলের আরও একটি বিল্ডিং গড়ার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিনেতা। শুধু তাই-ই নয়, বর্তমানে ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১১০। এই অনাথ শিশুদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার সম্পূর্ণ দায়িত্বও নিয়েছেন তিনি। এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “দারিদ্র থেকে মুক্তি পেতে হলে সবার আগে শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। আমরা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের শিক্ষার আলো দেখাতে চাই, যাতে পরবর্তীকালে ওরা ভাল চাকরির সুযোগ পায়। শুধু তাই নয়, উচ্চশিক্ষার জন্যও আমরা কাজ করছি। তবে সবার আগে তাদের অন্নসংস্থান ও মাথার উপর ছাদের বিষয়টা নিশ্চিত করতে হবে। ওটাই করছি।” প্রসঙ্গত, বিহারের এই স্কুলের পাশাপাশি সোনু দেশের আরও ১০ হাজার ছেলে-মেয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন।