ইউসিসি নিয়ে বিরোধিতার আগেই বৈঠকে সনিয়া, থাকবেন খাড়্গে, রাহুল

দিল্লি, ১ জুলাই– অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে বিরোধিতার পথে হাঁটতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু এই বিরোধীতা নিয়ে দলেই রয়েছে ভিন্ন মত। আর সেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি বা ইউসিসি নিয়ে শনিবার বৈঠক ডাকলেন সনিয়া গান্ধি । কংগ্রেস সংসদীয় দলের সভাপতি হিসাবে এই বৈঠক ডেকেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

ইউসিসির বিষয়টি যেহেতু সংবিধানের ৪৪ নম্বর অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে এই বিষয়ে জোরালো বিরোধিতা করা ঠিক কিনা তা নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে ভিন্ন-ভিন্ন মত রয়েছে। তাছাড়া শতাব্দী প্রাচীন এই দল মনে করে, বিষয়টি শুধু রাজনৈতিক দলের বিবেচনায় বিষয় হতে পারে না। ধর্মীয় ও সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংস্থাগুলির মতামত নেওয়া জরুরি। সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কংগ্রেস তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিতে পারে। বৈঠকে থাকবেন কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে  এবং রাহুল গান্ধি প্রমুখ।

আগামী সোমবার আইন মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটি বৈঠক ডেকেছে। সেখানে সদস্য দলগুলির সাংসদেরা নিজেদের অভিমত জানাতে পারবেন। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। সম্ভবত ৫ অগাস্ট সংসদে ইউসিসি নিয়ে বিলটি পেশ করা হবে। তার আগে সব দলকেই বিলের খসড়া দেওয়া হবে।


বিষয়টি নিয়ে বিজেপি এবং বিরোধী দুই শিবিরেই ভিন্ন মত আছে। পদ্ম শিবিরের একাংশ ইউসিসি অনাবশ্যক বলে মনে করছে। অন্যদিকে, আপত্তি তুলেছে এনডিএ-এর বেশ কিছু শরিক।

আবার পাটনায় মিলিত হওয়া বিরোধী দলগুলির মধ্যে আম আদমি পার্টি এবং শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী ইউসিসির পক্ষে। শরদ পাওয়ারের এনসিপি কী অবস্থান নেবে তা নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পঁচিশ বছর আগে শরদের পার্টি বিজেপির জাতীয়তাবাদের রাজনীতিকে অনুসরণ করেই তৈরি হয়েছিল।

এই পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। দুই নেতাই বলেছেন, পাটনার আলোচনায় এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি যে সব দলকে সব ইস্যুতে এক সুরে কথা বলতে হবে। সেখানে কথা হয়েছে মূলত বিজেপি সরকারের নীতি নিয়ে।

বিরোধী নেতাদের কেউ কেউ মনে করছেন, মোদি ইউসিসি নিয়ে মাতলেও বিষয়টি রাম মন্দির বা কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদের মতো গুরুত্ব পাবে না ভোটের বাক্সে। কারণ খাতায় কলমে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু না থাকলেও বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত সম্প্রদায় মূল স্রোতের সঙ্গে তাল মিলিয়েই চলছে।