মুর্শিদাবাদ,৫ মে — ছেলের হাতে নৃশংস মৃত্যু মায়ের ।এমনই অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় মুর্শিদাবাদের বড়ঞার হাপিনা গ্রামে। আচমকাই বাড়িতে এসে মেক এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে শ্রীমন্ত দাস। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মঙ্গলি দাস। বছর বাহান্নর মঙ্গলির ছেলে শ্রীমন্ত ছোট থেকেই মানসিক ভারসাম্যহীন। তার চিকিৎসাও চলছে বহরমপুর হাসপাতালে।মৃতার স্বামী সুশান্ত দাস জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পাড়ার মন্দিরে বসেছিল শ্রীমন্ত। রাতে খাওয়ার জন্য সুশান্ত বাবু ছেলেকে ডেকে আনতে গেছিলেন। বাড়িতে ঢুকেই মঙ্গলিকে হাসুয়া নিয়ে তাড়া করে শ্রীমন্ত। ছেলেকে আটকাতে সুশান্ত ছুটে যান। কিন্তু স্ত্রীকে বাঁচাতে পারেননি। তার আগেই শ্রীমন্ত এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে মাকে। মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মঙ্গলির।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বুধবার শ্রীমন্ত খুব চিৎকার করছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সে শান্তই ছিল। পাড়ার মন্দিরেও গিয়েছিল সে। কেন আচমকা রেগে গেল সেবিষয় কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
সুশান্ত জানিয়েছেন, ‘ছেলে মানসিক রোগী। বহরমপুর হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। ওষুধও খাওয়ানো হয়। এদিনও ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু কেন এমন কান্ড ঘটালো সে কেউই বুঝে উঠতে পারছে না।
খবর পেয়ে বড়ঞা থানার পুলিশ হাপিনা গ্রামে পৌঁছায়। অভিযুক্ত শ্রীমন্ত দাসকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করে। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।