• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

দিয়াকে ভালোবেসে ঠকিয়েছিলেন 

মুম্বই : মিষ্টি হাসি সর্বদা তাঁর মুখে লেগেই আছে।  বলিউডের লাস্যময়ী সুন্দরী দিয়া মির্জার অগণিত ভক্ত-অনুরাগী রয়েছে।  অভিনেত্রীকে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুস্কর।  আর সেই দিয়াকে কেউ ধোঁকা দিতে পারে তা কি বিশ্বাস করা যায়।   সম্প্রতি অতীতের সেই ঘটনা স্মরণ করলেন অভিনেত্রী। দিয়া তার স্কুলের একজন সিনিয়রের প্রেমে পড়ার কথা স্মরণ করেছেন, যিনি একই সময়ে

মুম্বই : মিষ্টি হাসি সর্বদা তাঁর মুখে লেগেই আছে।  বলিউডের লাস্যময়ী সুন্দরী দিয়া মির্জার অগণিত ভক্ত-অনুরাগী রয়েছে।  অভিনেত্রীকে পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়াই দুস্কর।  আর সেই দিয়াকে কেউ ধোঁকা দিতে পারে তা কি বিশ্বাস করা যায়।  
সম্প্রতি অতীতের সেই ঘটনা স্মরণ করলেন অভিনেত্রী। দিয়া তার স্কুলের একজন সিনিয়রের প্রেমে পড়ার কথা স্মরণ করেছেন, যিনি একই সময়ে তার সঙ্গে এবং তার সেরা বান্ধবীর সঙ্গেও ফ্লার্ট করতেন! যখন দিয়া বিষয়টি জানতে পারেন, তিনি এবং তার বান্ধবী এই বিষয়ে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ করেন। 

২০০০ সালে ‘মিস ইন্ডিয়া এশিয়া প্যাসিফিক’ নির্বাচিত হওয়ার পর খ্যাতি অর্জন করেন দিয়া মির্জা।
এরপর বলিউডে পা রাখেন এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। ‘রেহেনা হ্যায় তেরে দিল মে’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন দিয়া। এরপর একে একে ‘দিওয়ানাপান’, ‘দম’, ‘লাগে রাহো মুন্না ভাই’র মতো জনপ্রিয় অনেক চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তিনি। দিয়াকে সামনে দেখা যাবে রত্না পাঠক শাহ, ফাতিমা সানা শেখ এবং সানজানা সাঙ্ঘির সঙ্গে ‘ধাক ধাক’ চলচ্চিত্রে। তরুণ দুদেজার পরিচালনায় সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন তাপসী পান্নু। 

২০১৫ সালে দিয়া মির্জা দূরদর্শনের ‘কোশিশ সে কামিয়াবী তাক’-এর একটি পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন।  শো’তে সঞ্চালক কিরণ জুনেজার কাছে দিয়া প্রকাশ করেছিলেন যে তিনি একবার স্কুলে তার ক্রাশের কাছে ধোঁকা খেয়েছিলেন। অভিনেত্রী বলেছিলেন, “আমার স্কুলে আমার একজন সিনিয়র ছিলেন, যিনি আমার থেকে দুই বছরের বড় ছিলেন। তার ওপর আমার খুব ক্রাশ ছিল, কিন্তু আমি তাকে বা অন্য কাউকে বলিনি।

জানি না কিভাবে যেন তিনি জানতে পারেন যে আমি তাকে পছন্দ করি। এর পর থেকে প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে ফোন বেজে উঠত এবং আমি সেটা ধরার জন্য দৌড় দিতাম। তিনি ফোন করতেন এবং ‘আই জাস্ট কল টু সে আই লাভ ইউ’ গানটি শোনাতেন।”
দিয়া বলেন, ‘গানটি শুনে আমি খুব খুশি হতাম এবং ভাবতাম সে-ও আমাকে ভালোবাসে।
কিন্তু স্কুলে তিনি কখনোই এ বিষয়ে কথা বলেননি। আমরা স্কুলে একে অপরের দিকে তাকাতাম এবং হাসতাম। যতক্ষণ না আমি জানতে পারি যে সে আমার সবচেয়ে কাছের বান্ধবীর সঙ্গেও একই কাজ করছে!’ এরপর শোটির সঞ্চালক কিরণ তাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে ঈশ্বর! এই ঘটনায় কি আপনার হৃদয় ভেঙেছে?’ দিয়া উত্তরে বলেন, ‘না। আমি সরাসরি প্রিন্সিপালের অফিসে গিয়েছিলাম এবং আমরা দুজনেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।’