৭৫-এ মুখ্যমন্ত্রী পদে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন সিদ্ধারামাইয়া  

বেঙ্গালুরু, ২০ মে – অনেক টালবাহানার পর শনিবার দ্বিতীয়বারের জন্য কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসলেন সিদ্দারামাইয়া। শনিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করলেন এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। বেঙ্গালুরুর কান্তিরাভা ফুটবল স্টেডিয়ামে কর্নাটকের রাজ্যপাল খাওয়ার চাঁদ গেহলটের কাছে উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ডিকে শিবকুমারও। এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন  কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের।  এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরা।  তবে এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সোনিয়া গান্ধি ।

শনিবার, ২০ মে শপথ নিলেন একাধিক পূর্ণমন্ত্রীও। সেই তালিকায় রয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গের ছেলে প্রিয়ঙ্ক খড়গে। পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন প্রবীণ নেতা রামলিঙ্গ রেড্ডি। মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী জি পরমেশ্বর। তিনি শুক্রবার পর্যন্ত উপমুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিতে অনড় ছিলেন।  পাঁচ বারের বিধায়ক লিঙ্গায়েত নেতা এমবি পাতিল, মনমোহন সিংহের আমলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কেএইচ মুনিয়াপ্পা, দলের সংখ্যালঘু নেতা জামির আহমেদ খান এবং কেজে জর্জও শনিবার মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

সিদ্ধারামাইয়ার শপথে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ দলগুলির মধ্যে এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং তেজস্বী যাদব, মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ প্রমুখ।  ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা এবং কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা এবং পিডিপির মেহবুবা মুফতি। উপস্থিত ছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুও। 

শপথে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাননি। তিনি আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তৃণমূলের তরফে হাজির ছিলেন বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। অনুপস্থিত ছিলেন উদ্ধব ঠাকরেও। 


২০১৩ সালে প্রথমবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেন কংগ্রেস নেতা সিদ্ধারামাইয়া। এবার ৭৫ বছর বয়সে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন এই প্রবীণ নেতা।