মুম্বাই, ২৩ ফেব্রুয়ারি– বিরোধীদের শপথ নিতে হবে যাতে মোদি আর প্রধানমন্ত্রী পদে ফিরতে না পারেন। তাঁর পরিবর্তে যোগ্য উত্তরসূরি একমাত্র মমতা বন্দোপাধ্যায়। মন্তব্য আসানসোলের তারকা তৃণমূল সাংসদ শত্রুঘ্ন সিন্হার। মমতাকেই ‘গেম চেঞ্জার’ ব্যাখ্যা শত্রুঘ্নের । রাহুলকে ‘কাবিল’ ব্যাখ্যা দিলেও বিরোধী জোটকে নেতৃত্ব দেওয়ার আকাঙ্খা সেই দলের নেই বলেই কটাক্ষ বিহারি বাবুর।
আসানসোলের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘মনে হচ্ছে, আমার বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘আচ্ছে দিন’ শেষ হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, ‘বহু দিন ধরে আমরা এই প্রশ্নটাই শুনে আসছি, নেতা কে হবেন? কিন্তু বিরোধীদের এখানে আটকে পড়লে চলবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, প্রধানমন্ত্রী হিসাবে কার প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে হবে, তা সবার কাছেই স্পষ্ট।’’
মোদিকে ভোটের ময়দানে ঠেকিয়ে দেওয়া গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবেন? শত্রুঘ্নের তালিকায় রয়েছে একাধিক নাম। তিনি কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধির কথা বলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও পছন্দ শত্রুঘ্নর । যদিও বুধবার রাতে সাংবাদিকদের কাছে শত্রুঘ্ন উল্লেখ করেছেন, নীতীশ স্বেচ্ছায় প্রধানমন্ত্রীত্বের দৌড় থেকে নিজের নাম তুলে নিয়েছেন। তবে শত্রুঘ্নের তালিকায় বিরোধী জোটের মুখ হিসাবে আলাদা জায়গা রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতার। শত্রুঘ্নের দাবি, মমতা পরীক্ষিত একজন রাজনীতিবিদ। আগামী লোকসভা ভোটে মমতাই ‘গেম চেঞ্জার’ হয়ে উঠবেন বলে আশা তৃণমূল সাংসদের।
বিহারের পটনা সাহিব কেন্দ্র থেকে ২০১৯ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে লড়েছিলেন শত্রুঘ্ন। কিন্তু হেরে যান। তার আগে দু’বার ওই কেন্দ্র থেকেই জিতেছিলেন তিনি। তার পর শত্রুঘ্ন যোগ দেন তৃণমূলে। বাবুল সুপ্রিয় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। বাবুল আসানসোলের সাংসদ পদও ছেড়ে দেন। আসানসোলের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করে শত্রুঘ্নকে। বিপুল ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে আবার লোকসভায় যান শত্রুঘ্ন।