‘রাম মন্দির উদ্বোধনে ডাক না পেয়ে পাওয়ারের সাফ জবাব, পেলেও যেতাম না’
Sunita Das
মুম্বই, ২৮ ডিসেম্বর– তোড়জোড়ে চলছে রামমন্দিরের চূড়ান্ত প্রস্তুতি৷ ইতিমধ্যেই রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠায় থাকা অতিথিদের আমন্ত্রণ পাঠানোও প্রায় শেষ৷ বিরোধী শিবির কংগ্রেসের সোনিয়া-রাহুল-খাড়গে থেকে শুরু করে সিতারাম ইয়েচুরি সবাই রয়েছেন আমন্ত্রিতদের তালিকায়৷ যদিও আসা-না আসা নিয়ে এখনও অনেেই দোলাচলে৷ যেমন আমন্ত্রণ পেলেও যাচ্ছেন না সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ কিন্তু এর মাঝেই উঠে এল এমন দুই জুজুধান নেতার নাম যাদের নাকি ডাকাই হয়নি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে৷
মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রী তথা দুটি দলের শীর্ষ কর্তা উদ্ধব ঠাকরে এবং শরদ পাওয়ার ডাক পাননি৷ তবে শিবসেনা নেতা উদ্ধবকে না ডাকাতে হতবাক অনেকেই কারণ উদ্ধব মহারাষ্ট্রের জীবিত নেতাদের অন্যতম যিনি রাম মন্দির আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন৷ বাবা প্রয়াত বালাসাহেব ঠাকরের সঙ্গে তিনিও বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিন অযোধ্যায় ছিলেন৷ ধ্বংসে যোগদানের অভিযোগে এফআইআরে নাম ছিল তাঁরও৷
অন্যদিকে, শরদ পাওয়ার এনসিপি’র সভাপতি৷ মন্দির ট্রাস্ট সব দলের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে৷ অথচ বাদ গিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো পাওয়ার৷ আমন্ত্রণের চিঠি না পেয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভালই হয়েছে৷ আমন্ত্রণ পেলেও আমি যেতাম না৷’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি ধর্ম যার যার৷ এটা ব্যক্তিগত বিষয়৷ বিজেপি ও আরএসএস ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে৷ তাই মন্দির উদ্বোধনে নেতাদের ডাকছে৷ আমি ডাক পেলেও যেতাম না৷’
মহারাষ্ট্রের এই নেতা অবশ্য রাম মন্দির নির্মাণের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, অনেক মানুষের প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে৷ এটা ভাল বিষয়৷
পাওয়ার একবার কথায় কথায় বলেছিলেন, আমি নাস্তিক৷ যদিও পারিবারিক পুজোআচ্চায় তাঁকে অংশ নিতে দেখা দিয়েছে৷ রাম মন্দির প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘মাত্র তিনটি জায়গার প্রতি আমার আস্থা, ভক্তি আছে৷ তবে জায়গাগুলির নাম প্রকাশ্যে জানাবো না৷ সেটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত বিষয়৷’