মীনাক্ষীর প্রেমে ইহজগত ছাড়তেও রাজি ছিলেন তৃতীয় সম্পর্কে থাকা শানু
SNS
মুম্বাই,২০ ডিসেম্বর –– একদিনে ২৮টা গান রেকর্ড করার জন্য গিনেস বুকে নাম ওঠে তার। শুধু রোমান্টিক গানের জন্য নয় ব্যক্তিগত জীবনেও রোমান্টিক হিসাবে বেশ বিখ্যাত কুমার শানু। একের পর এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তার। যদি বৈধ সম্পর্কের কথা বলেন তাহলে কুমার শানু দু‘দুবার বিয়ে করেন। প্রথমবারের স্ত্রী রীতা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শালোনি। কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী সংসারে থাকার মাঝে কুমার শানুর জীবনে আসেন অভিনেত্রী কুণিকা লাল। কিন্তু কুণিকার সঙ্গে সম্পর্ক কিছুদিনের মধ্যেই ভেঙে যায়। কারণ সেই সময় তার জীবনে পা রেখেছেন তখনকার বিখ্যাত নায়িকা মীনাক্ষী শেষাদ্রি। কুমার শানুর ক্ষেত্রে বরাবর দেখা গেছে অন্য মহিলার কারণে তিনি নিজের বর্তমান সম্পর্কে চিড় ধরিয়েছেন।
আশির দশকের মাঝামাঝি রীতার সঙ্গে বিয়ে হয় কুমার শানুর। শোনা যায় তারা পূর্ব পরিচিত ছিলেন। শানুর হাত ধরে মুম্বাই যান রীতা। সেখানেই তাদের বিয়ে হয়। ১৯৮৮ সালে তাদের প্রথম সন্তান জেসি জন্মায়। এর পর জন্মায় আরো দুই ছেলে জিকো আর জান। বউ-বাচ্চা নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন শানু। ইতিমধ্যে বলিউডে বেশ পরিচিতিও পেয়েছেন তিনি। রীতার সঙ্গে ঝমেলার সূত্রপাত ১৯৯৩ সালে। এই সময় শানু সম্পর্কে জড়িয়ে পরেন অভিনেত্রী কুণিকা লালের সঙ্গে। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই সম্পর্ক ভেঙ্গে যায় তাদের।
ইতিমধ্যেই অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেষাদ্রির সঙ্গে আলাপ হয় শানুর। তিনি দেখা মাত্র সুন্দরী মীনাক্ষীর প্রেমে পড়েন। কিছুদিনের মধ্যে সবাইকে লুকিয়ে ডেটিং করা আরম্ভ করেন তাঁরা। রীতা স্বামীর এই সম্পর্কের কথা প্রথমে জানতেন না। কিন্তু ১৯৯৩ সালে কুমার শানুর সেক্রেটারি একটা সাক্ষাৎকারে বলেন ‘শানুর অনেক গার্লফ্রেন্ড আছে। এখন তিনি জনপ্রিয় অভিনেত্রী মীনাক্ষী শেষদ্রির সঙ্গে প্রেম করছেন।‘ প্রথমটায় অবশ্য স্ত্রীর কাছে মীনাক্ষীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করার চেষ্টা করেন কুমার শানু। কিন্তু পরে তিনি তা মেনে নেন। এর ফলে তাকে ডিভোর্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন রীতা। ১৯৯৪-এ কুমার শানু ও রীতার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যায়। তিন ছেলের কাস্টডি পান রীতা।
রীতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলার ফলে মীনাক্ষী আর কুমার শানুর সম্পর্কেও চিড় ধরে। শেষ অবধি তার আর রীতার ডিভোর্সের সাথেই মীনাক্ষীর সঙ্গেও ব্রেক আপ হয়ে যায় তার। অবশেষে শানু বিকানেরের মেয়ে সালোনির সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। জন্মায় দুই মেয়ে শ্যানন আর আনা। সালোনির পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই লন্ডনে থাকেন। সালোনিও মেয়েদের নিয়ে ওখানেই থাকেন। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে‚ তাদের বড় মেয়ে শ্যানন ২০১৪ সালে ইংরেজি গানের অ্যালবাম বের করেছেন।