কলকাতা ,২৫ ফেব্রুয়ারি — নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির ‘প্রাক্তন’ স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালার ফ্ল্যাটের সিঁড়িতে সিরিয়াল নম্বর লেখা কয়েকটি কাগজ পাওয়া গেছে । নম্বরগুলি ৯ ডিজিটের। ওই কাগজগুলি শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের কোনও সিরিয়াল নম্বর কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ওই ফ্ল্যাটের কোনরকম যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । উল্লেখ্য, ৯ ডিজিটের রোল নম্বর ব্যবহার হয় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার ক্ষেত্রে। হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের নীচ থেকে পাওয়া কাগজের মধ্যে ওই নম্বরগুলি লেখা । আগেই হৈমন্তীর ফ্ল্যাটের কাছে নোংরার স্তূপ থেকে কাগজ ও পুরনো ফাইল পাওয়া যায়।
আদতে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরের বাসিন্দা গোপালের দুটো বিয়ে বলে জানা যাচ্ছে। হৈমন্তীর মা জানান, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী এই হৈমন্তী। হৈমন্তীর আদি বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ায়। গোপালের পারিবারিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছাত্র পড়াতে শুরু করেন। ২০১৬ সালের পরে বেহালায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন গোপাল। সেখানে টালিগঞ্জের এক অভিনেত্রীও তাঁর সঙ্গে থাকতেন বলে জানা যাচ্ছে। তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে আরমানের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আকাউন্টে ‘নমিনি’ হিসাবে নাম রয়েছে হৈমন্তীর। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০১৭ থেকে মুম্বইয়ের একটি সংস্থার সঙ্গে যোগ রয়েছে আরমান এবং হৈমন্তীর। এই আরমান আসলে গোপালের আর এক নাম না কি, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনাচক্রে, হৈমন্তী এখন কোথায় আছেন, তাও অজানা।
এদিকে শনিবার দিল্লি থেকে গোপাল দলপতি দাবি করেন, ‘হৈমন্তী ইনোসেন্ট। ডিভোর্সের মামলা চললেও গোপাল স্পষ্ট জানান তিনি হৈমন্তীর পাশেই আছেন। গোপাল দলপতির এও বক্তব্য, এর আগে দু’বার কুন্তলের মুখোমুখি বসানো হয়েছিল তাঁকে। তখন কুন্তল হৈমন্তীর নাম বলেননি। যেই স্টেটমেন্টে নমিনির কলমে ওঁর নাম দেখেছেন অমনি বাজারে ছেড়ে দিয়েছেন।এর আগে একাধিকবার তদন্তকারীদের ডাকে হাজির হয়েছেন গোপাল। আবার কখনও প্রয়োজন মনে করলে তাঁকে তলব করা হতে পারে।
